ঢাকা,  শনিবার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

কয়রায় মাদ্রাসায়‌ গিয়ে ১৪ ছাত্রী অসুস্থ, হাসপাতালে ভ‌র্তি

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কয়রায় মাদ্রাসায়‌ গিয়ে ১৪ ছাত্রী অসুস্থ, হাসপাতালে ভ‌র্তি

ছবি : মেসেঞ্জার

খুলনার কয়রায় পাঠদান চলাকালে একই মাদ্রাসার ১৪ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে‌। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চি‌কিৎসা‌ধিন রয়েছে। বৃহস্প‌তিবার (১৩ ফেব্রুয়া‌রি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ঘুগরাকা‌টি ফা‌জিল মাদ্রাসায় আক‌স্মিক এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা হলো রিফা তসনিম, সুমাইয়া সি‌দ্দিকা, মীম, আখি, জুঁই, মি‌থিলা, কুলসুম, হা‌মিদা, কেয়া, মীম সুলতানা, তন্নী, অ‌রিসা, হুমাইরা, উর্মী। তারা সকলেই দশম শ্রেণির ছাত্রী।

সরেজ‌মিন বেলা ২টার দিকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মীম নামের এক ছাত্রীকে অ‌ক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কয়েকজনকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। সুস্থ‌ অনুভব হওয়ায় কয়েকজন শয্যার উপরে বসে রয়েছে। হাসপাতালে ছাত্রীদের অ‌ভিভাবক ও শিক্ষকদের ভীড় রয়ে‌ছে। তারা  ছাত্রীদের যত্ন নিচ্ছেন।

অসুস্থ ছাত্রীরা জানান, তাদের বুক ধড়পড় করে ও দমবন্ধ হয়ে যেতে থাকে। কয়েকজনের ব‌মি হয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। চারজন অচেতন হয়ে পড়ে।

প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়া দশম শ্রেণির ছাত্রী রিফা তাস‌নিম জিবা বলেন, সকালে মাদ্রাসায় আসার পর থেকে বুক ব‌্যথা ক‌রে ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। একপর্যায়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হয় ও অচেতন হয়ে প‌ড়ি। এরপরে আর কিছু বলতে পা‌রি না। এখন অনেকটা ভালো লাগ‌ছে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা সুজা উদ্দীন বলেন, মাদ্রাসায় পাঠদান চলাকালে রিফা নামের একজন ছাত্রীর শ্বাসকষ্ট শুরু। সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে আরও তিনজনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাৎক্ষ‌ণিক আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অব‌হিত ক‌রি। তাদের‌কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ‌র্তি করার পরে আরও কয়েকজন  অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকলেই হাসপাতালে চি‌কিৎসা‌ধিন রয়ে‌ছে। কয়েকজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে।

কয়রা উপ‌জেলা স্বাস্থ্য ও প‌রিবার প‌রিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল ক‌রিম বলেন, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষ‌ণিক এ্যাম্বু‌লেন্স পা‌ঠিয়ে অসুস্থ চারজন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে আরও ১০ জনকে হাসপাতালে ভ‌র্তি করা হয়। তা‌দের তেমন কোন সমস্যা হয়‌নি। তারা গণ মনোরোগজনিত রোগে আক্রান্ত। একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় আতং‌কে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চি‌কিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

‌তি‌নি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা শা‌রি‌রিকভাবে অনেকটা দুর্বল। এছাড়া অ‌ধিকাংশই সকালে না খেয়ে মাদ্রাসায় যায় বলে তথ্য পেয়ে‌ছি।