ঢাকা,  শনিবার
০১ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

নোয়াখালীতে সহকারী অধ্যাপককে অপহরণ করে অঙ্গীকার আদায় 

ইয়াকুব আল মাহমুদ, নোয়াখালী থেকে

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নোয়াখালীতে সহকারী অধ্যাপককে অপহরণ করে অঙ্গীকার আদায় 

ছবি : মেসেঞ্জার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মানিক লাল পালকে অপহরণ করে অঙ্গীকার আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর কলেজের চার প্রভাষকসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক।

অভিযোগে জানান যায়, জয়াগ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের অবসরজনিত বিদায়ের কারণে শূণ্য পদে নিয়োগ আবশ্যক হয়ে পড়েছে। জৈষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক মানিক লাল পালকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্বাচিত করার বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আকতারের কার্যালয়ে একটি সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ শেষে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া  যুক্তিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক রেজাউল করিম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন ভূঁইয়া, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মনির হোসেন খানের নির্দেশে অজ্ঞতা ৭/৮ জন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে মানিক লাল পালকে গালমন্দ করে মারধরের চেষ্টা করে। এরপর অজ্ঞাত নামক স্থানে নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের পদে আগ্রহী নয় মর্মে সাদা কাগজের স্বাক্ষর আদায় করে। অভিযোগের সাক্ষী মো. বাবু, মো. আল আমিন, সবুজ ভূঁইয়া, হেলাল উদ্দিন এগিয়ে আসলে মানিক লালকে সিএনজি যোগে নদনায়  নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হত্যা ও গুমের হুমকিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করা হয়।

এ বিষয়ে জয়াগ মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মানিক লাল পাল বলেন, বর্তমানে আমাকে অপহরণ করে স্বাক্ষর আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি হত্যা ও গুমের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষাঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আকতার বলেন, কেউ শিক্ষাঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।

মেসেঞ্জার/তুষার

আরো পড়ুন