ঢাকা,  শনিবার
২৯ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

ঋণ গ্রহীতাদের মারধর, প্রতিবাদে ঝাঁড়ু মিছিল

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঋণ গ্রহীতাদের মারধর, প্রতিবাদে ঝাঁড়ু মিছিল

ছবি : মেসেঞ্জার

ভোলার চরফ্যাশনে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসার আড়ালে চড়া সুদের কারবারের অভিযোগ উঠেছে সুদ কারবারী সুজনের বিরুদ্ধে। চড়া সুদের কিস্তি প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চরফ্যাশন সদর বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ঝাঁড়ু মিছিল করেন।

জানা যায়, বহিরাগত ওই সুদকারবারী মো. সুজন মিয়া চরফ্যাশন সদরে আল আরাফা নামের একটি ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসায়া সাইনবোর্ড টানিয়ে  তিনি চড়া সুদের কারবার করে আসছিলেন। চরফ্যাশন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে ফাঁদে ফেলে তিনি ঋণ হিসেবে বিভিন্ন অংকের টাকা দিয়ে ওই টাকা তিনি চড়া সুদসহ আদায় করেন।  তার চড়া সুদের টাকা দিতে ব্যবসায়ীরা অস্বীকার করলে একাধিক ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। সুদকারবারীর হাতে থেকে রক্ষা পেতে বুধবার দুপুরের কয়েকশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তার অবৈধ সুদের কারবার বন্ধ ও ব্যবসায়ীদের মারধর করে চড়া সুদ আদায়সহ তার বিচারের দাবীতে প্রতিবাদে ঝাঁড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

চরফ্যাশন সদর রোডে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম টিপু। সমাবেশে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, সুদব্যবসায়ী সুজন মিয়া কিস্তির টাকার জন্য বাজার ব্যবসায়ী কামাল হোসেনকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আটক রাখেন এবং মারধর করেন। অবরুদ্ধ কামালকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। ফলে কামালকে উদ্ধারে এগিয়ে যান স্থানীয় বিএনপির নেতা খায়রুল ইসলাম সোহেল। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সুদব্যবসায়ী সুজন মিয়া বিএনপি নেতা খায়রুল ইসালাম সোহেলকে নিয়ে অপপ্রচার চালান। এবং ভোলা সদর প্রেসক্লাবে গিয়ে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা এসব অপপ্রচার বন্ধের আহবান জানান।

ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন জানান, আমার ছেলের টাকার জামিনদার হওয়ার সুযোগে ওই সুদ কারবারী সুজন আমাকে ডেকে নিয়ে তার অফিসে আটক করে মানুষিকভাবে হেনস্ত করেন। পরে খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা আমাকে উদ্ধার করতে গেলে ব্যর্থ হলে বিএনপি নেতা খাইরুল ইসলাম সোহেল আমাকে তার জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেন।

কামাল উদ্দিনের মতো তার কাছ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে বাবুল সিকদার ও ফাহিনুর বেগমের মতো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার অতিরিক্ত সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তিনি অফিসে ডেকে নিয়ে মারধর ও হেনস্ত করেন তিনি। তার অবৈধ সুদ ব্যবসা বন্ধ ও তাকে বিচারের দাবী করেন তারা।

অভিযুক্ত সুদকারবারী সুজন জানান, আমি একজন ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা করি। সবাই নিজেদের নিজেদের প্রয়োজনে অফিসে এসে ঋণ নেন। ওই ঋণ গ্রহীতা রায়হান ও কামালের ঋণ খেলাপি থাকায় কামালকে অফিসে ডেকে এনে কারন জানতে চেয়েছি। তাকে মারধর বা হেনস্তার বিষয়টি সঠিক নয়।

চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানন, এঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীরা একটি স্মারক লিপি দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা একটি স্মারক লিপি দিয়েছেন। বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।

মেসেঞ্জার/সাইফুল/তুষার