ছবি : মেসেঞ্জার
যশোর অভয়নগরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের জমিসহ বাড়ি দখল করেছে এক বিএনপি নেতা। দখল কার্যক্রমে বাঁধা দেওয়ায় করা হয় পাশবিক নির্যাতন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিমল কান্তি এই অভিযোগ করেন।
অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রফেসর পাড়ার পরিমল কান্তি কর্মকার লিখিত অভিযোগে বলেন, বিএনপি নেতা এফএম আলাউদ্দিন আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ও তার পরিবার ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের পরিবারের উপর নানাভাবে শারীরিক লাঞ্ছনা, হেয় প্রতিপন্ন করা ও অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করে আসছিলেন। তাদের অত্যাচারে আমাদের সেখানে বসবাস করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল। সর্বশেষ ২০১৬ সালে বিএনপি নেতা এফএম আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে এফএম রাব্বি ও তার গুন্ডাবাহিনী আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা এফএম আলাউদ্দিনের দুই ছেলে এফএম রাজু আহমেদ ও এফএম রাব্বি এলাকায় ক্যাডার ভিত্তিক সন্ত্রাস ও ত্রাস কায়েম করেছে। বর্তমানে তারা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা ও মূর্তিমান আতঙ্ক। এই হামলার পরিপেক্ষিতে আমার ২০১৭ সালে মা বিউটি কর্মকার বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে। এরপর থেকে নানা নির্যাতনের শিকার হয়ে বসতভিটা ছাড়া হয়ে গত সাত বছর যশোর শহরে ভাড়া বাসায় স্ব-পরিবারে বসবাস করছি।
পরিমল কান্তি কর্মকার বলেন, ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জানতে পারেন এফএম আলাউদ্দিনের দুই ছেলে, তার পিতা বিএনপি নেতা এফ এম আলাউদ্দিনে ও তার চাচা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এফএম গিয়াস উদ্দিনের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের বসতবাড়িটি দখল করে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেরে বাড়িতে গেলে আলাউদ্দিনের দুই ছেলে এফএম রাজু আহমেদ ও এফএম রাব্বি সহ তাদের ক্যাডাররা তাকে ইটের আঘাতে জখম করে। পরে একটি ঘরে আটকে পাশবিক নির্যাতন করে। এদিন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিও করা হয়। সেদিন তিনি পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে হুমকি ধামকির কারণে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিমল কান্তির স্ত্রী বিউটি কর্মকার ও ছেলে পিয়াস। কর্মকার ও স্ত্রী বিউটি কর্মকার।
মেসেঞ্জার/তুষার
