ঢাকা,  রোববার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

টাঙ্গাইলে হর্টিকালচার সেন্টারে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৯:২০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

টাঙ্গাইলে হর্টিকালচার সেন্টারে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ

ছবি : মেসেঞ্জার

টাঙ্গাইলের ভালুককান্দি হর্টিকালচার সেন্টারে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া মাটি ভরাটের ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল মান্নান। এ নিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে চলছে নানা সমালোচনা।

জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে টাঙ্গাইলের ভালুককান্দি হর্টিকালচার সেন্টারে মাটি ভরাটের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বরাদ্দকৃত টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেন নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল মান্নান। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে বাধ্য হয়ে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা মাটি ব্যবসায়ী মনিরুর ইসলামের মাধ্যমে এক লাখ টাকার আট ট্রাক মাটি ফেলা হয়। বাকি ১৯ লাখ টাকাই তিনি খেয়ে ফেলেন।

সরেজমিনে হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন কর্মচারীর সাথে। তারা জানান, যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার সম্পূর্ণই খেয়ে ফেলেছেন আব্দুল মান্নান। মাত্র এক লাখ টাকার আট ট্রাক মাটি ফেলেছেন। এরমধ্যে চার ট্রাক মাটি সীমানা প্রাচীর ঘেসে, দুই ট্রাক মাটি একটি গর্ত ভরাটের জন্য এবং দুই ট্রাক মাটি নার্সারীর ভেতরে ফেলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, স্যার (মো. আব্দুল মান্নান) বরাদ্দের ২০ লাখ টাকাই আত্মসাৎ করেছিল। কিন্তু অন্যান্য কর্মকর্তাদের সমালোচনায় বাধ্য হয়ে মাত্র এক লাখ টাকার চার ট্রাক মাটি ফেলেছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতার মাধ্যমে। বাকি ১৯ লাখ টাকাই তিনি আত্মসাৎ করেছেন।

সদর উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির জানান, নার্সারীতে অনেক আগে ৮/১০ টাকা মাটি ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভালুককান্দি হর্টিকালচার নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক (সংযুক্ত) মো. আব্দুল মান্নান জানান, তিনি কোন টাকা আত্মসাৎ করেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাটি ফেলা হয়েছে।

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, যদি এ ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে এ বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার/মোস্তফা/তুষার