ঢাকা,  শুক্রবার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করলে এর দায় আপনাদের নিতে হবে : ড. আসাদুজ্জামান রিপন

নাজিম বকাউল, ফরিদপুর 

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করলে এর দায় আপনাদের নিতে হবে : ড. আসাদুজ্জামান রিপন

ছবি : মেসেঞ্জার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা সংস্কারের নামে বছর পর বছর ক্ষমতা থাকতে চায়, তাদেরকে আমরা হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই। জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করলে এর দায় আপনাদের নিতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করুন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। সঙ্কট থেকে উত্তরণে জাতীয় নির্বাচনই একমাত্র পথ। নো স্থানীয় সরকার নির্বাচন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের থানা রোডে ফরিদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান রিপন একথা বলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার দাবিতে দেশব্যাপী দশদিনের গণসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তারা খুবই তৎপর। গত মঙ্গলবার খুলনায় একটি ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই খুলনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই নির্বাচন হয়। সরকারের ভিতরে কেউ কেউ উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছে। আমরা তাদের এই উস্কানিমূলক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই।

সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু  বলেন, ‘সময় ছয় মাস চলে গেল, এখনো জিনিসপত্রের দাম কমে না কেন? জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারেন না কেন? শেখ পরিবারের একটা লোককেও আপনারা ধরতে পারেননি কেন? তারা পালায় গেল কেমনে। যারা গুলির নির্দেশ দিছে, যারা শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করছে। ১৫ বছরে যারা খুন-গুম করছে ও আয়নাঘরে মানুষকে নির্যাতন করছে তারা এখন প্রফেসর ইউনূসের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে।’

শামা ওবায়েদ আরো বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারহীন দুই দিন ছিল দেশ। তখন দেশ রক্ষায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল পাহারা দিয়েছিল। এই কথা এখন কেউ আর মনে রাখে না।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা দলের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসার সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও যুগ্ন আহবায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল এর সঞ্চালনায় জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা সমাবেশস্থলে যোগ দেন।

মেসেঞ্জার/তুষার