
ছবি: মেসেঞ্জার
যাত্রীবাহি চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ না নেওয়ার নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বড়াইগ্রাম থানামোড় এলাকা থেকে একটি বাস জব্দ এবং চালক-হেলপারকে আটক করে পুলিশ। ওই যাত্রীরা অভিযোগ করেন চালক-হেলপারের সযোগিতায় ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি বাস ঢাকার গাবতলী থেকে থেকে রাজশাহীগামী বাসটিতে চন্দ্রা থেকে ৮ জন যাত্রীবেশী ডাকাতদল উঠেন। তারা চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের মীর্জাপুর এলাকার মধ্যে সকল যাত্রীর নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট ও দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে মীর্জাপুরের একটি তেল পাম্পে বাসটি থামিয়ে ডাকাতরা নেমে যায়। এরপর চালক-হেলপান বাসটি রাজশাহী নিতে অস্বীকৃতি জানায়। যাত্রীরা ঐক্যব্ধ হয়ে চাপ সৃষ্টি করলে চালক বাস নিয়ে রওনা হয়। পথে বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকায় পৌঁছালে ওই বাসে থাকা বড়াইগ্রামের যাত্রীর সহায়তায় বাসটি থামায় এবং চালক- হেলপারকে পুলিশ হেফাজতে দেয়। এসময় দুই নারী যাত্রী এবং অন্যযাত্রীরা বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা ঘটনাস্থল টাঙ্গাইলের মীর্জাপুর হওয়ায় ওসি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ঘটনার ৩দিন পরে মীর্জাপুর থানা থেকে প্রতিনিধি এসে শুক্রবার ৮-৯জন অজ্ঞাতনামা আসামীর নামে মামলা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে ওসি সিরাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন পিপিএম বলেন, প্রশাসনিক প্রয়োজনে শুক্রবার বিকেলে ওসি সিরাজুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/আরিফুল/জেআরটি