ঢাকা,  রোববার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ফুলবাড়ীতে ৮ বছর ধরে শহীদ মিনারের পুষ্পমাল্য পাহাড়া দিচ্ছে ইসমাইল হোসেন

ইউনুছ আলী আনন্দ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফুলবাড়ীতে ৮ বছর ধরে শহীদ মিনারের পুষ্পমাল্য পাহাড়া দিচ্ছে ইসমাইল হোসেন

ছবি : মেসেঞ্জার

দেশের জন্য নিবেদীত প্রাণ বিসর্জনকারী শহীদদের শ্রদ্ধায় শহীদ মিনারে অর্পিত পুষ্পমাল্য দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পাহাড়া দিচ্ছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদরের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা সাদামনের মানুষ ইসমাইল হোসেন ওরফে সাধু পাগলা।

তার পাহাড়ায় মহান বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুলবাড়ী কাছারী মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাহিত্য-সাংস্কৃতি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনে পুষ্পমাল্য গুলো শহীদ মিনারে দিনব্যাপী শোভা পাচ্ছে।

অন্যান্য বিশেষ দিনগুলোর মতো এবারও ইসমাইল হোসেন ওরফে সাধু পাগলাকে মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের শ্রদ্ধায় অর্পিত কাছারীমাঠ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য পাহাড়া দিতে দেখা গেছে। শহীদ মিনার বেদীর এক কোনায় খালি পায়ে বসে পুষ্পমাল্যগুলো পাহাড়া দিচ্ছেন তিনি।

২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দীর্ঘ এ সময়ে ইসমাইল হোসেন ওরফে সাধু পাগলার কঠোর পাহাড়ায় শহীদ মিনারে অর্পিত পুষ্পমাল্য গুলো অক্ষত ছিল। তার প্রচেষ্টার কারনে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে অর্পিত পুষ্পমাল্য গুলো দেখতে পেরেছে দর্শণার্থীরা।

এক দর্শনার্থী আব্দুস সোবহান জানান, পুষ্পমাল্য পাহাড়াদার ইসমাইল হোসেন ওরফে সাধু পাগলার পাহাড়ার কারনে আমরা শহীদ মিনারটির পুষ্পমাল্য গুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছি। আমাদের সন্তানদের শহীদ মিনার দেখা ও শহীদ মিনারের পুষ্পমাল্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। ছবি ওঠাতে পারছি। এটা প্রশংসার দাবিদার।

পুষ্পমাল্য পাহাড়াদার ইসমাইল হোসেন ওরফে সাধু পাগলা জানান, আমি ৮ বছর ধরে শহীদ মিনারের পুষ্পমাল্য পাহাড়া দিয়ে আসছি। আমার পাহাড়ার কারনে পুষ্পমাল্য গুলো চুরি করতে পারেনা কেউ। আমার এই কাজের জন্য ইউএনও অফিস থেকে ৫০০ টাকা উপহার দেয়। এটা দিয়ে অভাবী সংসারের খরচ করি।

মেসেঞ্জার/তুষার