ঢাকা,  রোববার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

সিংগাইরে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, থানায় মামলা

মুহ. মিজানুর রহমান বাদল, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সিংগাইরে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, থানায় মামলা

ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোবিন্দল গ্রামের প্রবাসী আলী আকবরের ছেলে সালমান তারিক (২২) ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিভিন্ন সময় তাকে বেড়াতে নিয়ে বিয়ের কথা বলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ধর্ষক সালমান তারিকসহ তার মা ও ভগ্নিপতিকে আসামী করে সিংগাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোবিন্ধল গ্রামের প্রবাসী আলী আকবরের ছেলে সালমান তারিক (২২), আকবর আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪৭) ও ভগ্নিপতি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার শিয়ালকোল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ এপ্রিল ভিকটিমের সাথে সালমান তারিকের পরিচয় হয়। কথাবার্তা চলতে থাকে। এক পর্যায় প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কের জের ধরে পাশ্ববর্তী সাভারস্থ বনপুকুর এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে  বিয়ের দাবি করলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১১ আগস্ট উপজেলার জার্মিত্তা ইউনিয়নের শায়ান রিসোর্টের একটি কক্ষে নিয়ে যায়।

সেখানে ভিকটিম বিয়ের দাবি করলে রাত ১১ টায় পুনরায় মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাইলে রাজি না হওয়া স্বত্ত্বে জোড়পূর্বক সালমান তারিক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিম সালমান তারিককে বিয়ের তাগিদ দিলে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকে। উপায়ন্ত না পেয়ে ভিকটিম, অভিযুক্ত সালমানের বাড়ি গিয়ে তার মা, ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানিয়ে বিয়ের দাবি করলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে চিকিৎসা শেষে সিংগাইর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

ভিকটিম বলেন, সালমান আমার ইজ্জত নষ্ট করেছে। আমাকে বিয়ে করতে হবে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালমান তারিকের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলামের বক্তব্যের জন্য সরকারি মোবাইলে কল করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মেসেঞ্জার/তুষার