
ছবি : মেসেঞ্জার
মুজিববাদ ও শেখ হাসিনার ফাসিবাদ এবং ভারতীয় হেজিমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, সেটা চলবে, বাংলাদেশকে আর কেউ কোনদিন উপনিবেশে পরিণত করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহামান।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহীদ আবু সাঈদ মেলার বিশেষ আলোচনা সভায় এসে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি প্রফসর ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী, বেরোবির গনিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আবু সাঈদকে স্মরণ করেই যেন আমরাও তার মতো সাহসী হয়ে উঠতে পেরেছি। আবু সাঈদের মতো শহীদদের জন্যই বাংলাদেশের পরিবর্তন হয়েছে। সাঈদ ফেলানীদের স্মৃতি থেকে। এদের যে সাহস। এদের যে আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জন্য। সেখান থেকে জেনারেশনের পর জেনারেশন অনুপ্রাণিত হবে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ২৪ এর বিপ্লবের পর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হেজিমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই লড়াই চলতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে আর কেউ কোননি উপনিবেশে পরিণত করতে পারবে না। সেই পথ আমাদেরকে আবু সাঈদ দেখিয়ে দিয়েছি। আবু সাঈদের প্রতি অসিম শ্রদ্ধা এবং তার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও একটা বিশাল গৌরবের ব্যাপার। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশে না বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আবু সাঈদের যে আত্মত্যাগ সেটা শুধূ বাংলাদেশে নয়, আমি নিশ্চিত বিশ্বের বিপ্লবের ইতিহাসে এটা বারবার চর্চিত হবে। আর যখনই আবু সাঈদের নাম চর্চিত হবে। তখন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও চর্চিত হবে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘একুশে পদক যখন আমি গ্রহন করেছি। তখনই সেটাে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের জন্য উৎসর্গ করেছি। আমার অনুভূতি হলো বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। এই প্রাপ্তি আমার নিজের জন্য যে বিরাট প্রাপ্তি তা আমার মনে হয়নি। কিন্তু আমি মনে করেছি আমি যে পত্রিকা চালিয়েছি। যে পত্রিকা আমার লড়াইয়ের হাতিয়ারি ছিল। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এবং ভারতীয় হেজিমনির বিরুদ্ধে। সেই পত্রিকাটির যে পরিবার, এই প্রাপ্তি সেই পত্রিকাটির পরিবারের জন্য এটা বিশাল স্বীকৃতি। একটা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। সব থেকে বড় স্বীকৃতি। যখন আপনাদের সাথে মিশি। তরুণদের সাথে মিশি। তারা যখন বলে আমার দেশ পত্রিকার কথা। আমার দেশ পত্রিকার প্রশসংসার কথা। তখনকার স্বীকৃতিটা আরও বেশি আন্দোলিত করে আমাকে।’
পরে তিনি বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
মেসেঞ্জার/মান্নান/তুষার