
ছবি : মেসেঞ্জার
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি মাহবুব মিয়া বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিশেষ এই দিনে তিনি তার জীবন সঙ্গীকে এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্ত্রী হিসেবে নিজ বাড়িতে নিয়ে অসেন।
ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার রেজাউল করিমের বড় মেয়ে ও যতীন্দ্র নারায়ন সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা খাদিজা খাতুন বিথির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এই নেতা। খাদিজা খাতুন বিথি ৩ বোনের মধ্যে সবার বড়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা মাহবুব মিয়া ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের কাচারী বাজার সংলগ্ন বড়লই গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জহুরুল হক মাষ্টারের প্রথমপুত্র। মাহবুব মিয়া ৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সবার বড় বলে জানা গেছে।
তার বিয়ে উপলক্ষে ২২ ডিসেম্বর শনিবার তার নিজ বাসভবন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের কাচারী বাজার সংলগ্ন বড়লই গ্রামে অয়োজন করা হয় বৌভাত অনুষ্ঠানের। দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া বৌভাত অনুষ্ঠানের বৃহৎ এক প্যান্ডেলে প্রীতিভোজে প্রায় ৪ হাজার মানুষ বৌভাত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
এরমধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, ১ নং যুগ্মআহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, ২ নং যুগ্ম আহবায়ক হাসিবুর রহমান হাসিবসহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং এলাকার নেতৃবর্গ।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ মাহবুব মিয়া ও তার নবাগত স্ত্রী খাদিজা খাতুন বিথিকে দাম্পত্য জীবনের সফলতা কামনা করেন। পরে তিনি দুপুরের প্রীতিভোজ শেষ করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গিয়ে ঢাকার উদ্যোশ্যে রওনা দেন।
বৌভাতের রান্নার কাজে থাকা স্থানীয় বড়লই গ্রামের বাবুর্চি নুর আলম ফারাজী জানান, আমার জানামতে এই বড়লই গ্রামে এই প্রথম একটি বৃহৎ আয়োজনের বিবাহ অনুষ্ঠান হচ্ছে মাহবুব মিয়ার বৌভাত অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে আমরা ৩০ জন কর্মী রান্নার কাজে অবিরাম শ্রম দিয়ে কয়েক হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করলাম।
বড় ছেলে মাহবুব মিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানটিতে হাজার হাজার মানুষকে মেহমানদারী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ জেলা-উপজেলার বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এলাকাবাসী বৌভাতে অংশ নেয়ায় মাহবুব মিয়ার পিতা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক জহুরুল হক খুশি হন। ছেলের বৌভাত অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন তিনি আল্লাহর দরবারে শোকর গুজার করেন।
মেসেঞ্জার/তুষার