ছবি : মেসেঞ্জার
আল্লাহ অনুমোদন করে দিয়েছেন, নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এইবার শুধু আসবে না আগামীবারও আসবে, ধানের শীষ মার্কা নির্বাচনে বিজয়ী হবে, ক্ষমতায় আসবে, বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে শুরু করে তাদের ক্ষমতা গ্রহণের দিন পর্যন্ত সবকিছুর তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, তারা খুব জনপ্রিয়। তাহলে নির্বাচনে আসুন। এখন যা শোনা যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায়, তারা শুধু গণ-অভ্যুত্থান করেনি, আমরাও করেছি। রূপায়ন টাওয়ারে তাদের ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি—এগুলো কার টাকায় কেনা হয়েছে? হেলিকপ্টার ছাড়া তারা চলাফেরাই করেন না। বিএনপিকে নিয়ে টানাটানি করবেন না, আমরা সব কিছুর হিসাব নেব।"
"এই সরকারের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব পালন না করে নিজেদের দল গোছাতে ব্যস্ত।"
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, "আজ অনেক দল জাতীয় নির্বাচন করার আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাচ্ছে। আমরা কি নমিনেশন দিয়েছি? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ছয় মাস পার হয়েছে। এই সময়ে বর্তমান সরকার কী দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে? তারা বেকার শিক্ষার্থীদের চাকরি দিতে পারেনি, দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি রোধ করতে পারেনি, এমনকি বাজার সিন্ডিকেটও ভাঙতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।"
বিএনপি নেতা প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আগের তুলনায় অনেক খারাপ। দ্রুত একটি ভালো নির্বাচন দিন। যারা জিতবে তাদের হাতে ক্ষমতা দিন। আপনি বলছেন শিক্ষার্থীদের একটা দল থাকা দরকার। তাহলে আপনি তো শিক্ষার্থীদের পক্ষে। আপনি তো তাহলে নিরপেক্ষ নন। আপনার পদত্যাগ এখনো কিন্তু আমরা দাবি করি নাই। আপনি দুই নম্বরি করলে আপনার সুনাম পদদলিত হবে।"
তিনি আরও বলেন, "বিএনপি একটি ত্যাগী দল, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ত্যাগী দল। ফ্যাসিস্ট সরকারের যে পরিবার ক্ষমতায় ছিল, সেই পরিবারের সবাই দুর্নীতিতে জড়িত। তারা বিদেশে বসেও দুর্নীতি করেছে এবং দেশের সম্মান নষ্ট করেছে। ব্যাংকিং খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা চাই নির্বাচন হোক, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসুক।"
বিএনপির ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, "৯০-এর দশকে ছাত্র আন্দোলন আমরাই করেছি। আজ যারা ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা রাজকীয় জীবনযাপন করছে। কিভাবে তারা এত সম্পদ গড়ে তুলল, তা তদন্ত করা দরকার। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের জীবনযাপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।"
তিনি দাবি করেন, আন্দোলনের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও এখন বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এবং বিএনপি আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে।
উক্ত জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) মো. আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) মো. আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, ও জেলা বিএনপির সদস্য জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/আরিফ/তুষার
