
ছবি : মেসেঞ্জার
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে গার্মেন্টসকর্মীকে (২৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত মো. বাবুল (৩৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। সে মামলার ৪ নং আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধান অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫) গ্রেপ্তার হন।পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ ঘটনায় মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই নারী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার একটি গার্মেন্টসের কর্মী। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাজ শেষে অটোরিকশায় করে মুন্সিগঞ্জের বালুচরে স্বামীর কাছে ফিরছিলেন তিনি।
এ সময় বালুচর এলাকার ডিসি প্রজেক্টের সামনে পৌছামাত্র অভিযুক্ত মো. রহিম (৩২) ও মো. আরিফ সরকার (৩০) অটোরিকশা থামিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে ঝোপঝাড়ে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
পরে ২১ ফেব্রুয়ারি ওই নারী বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সিরাজদিখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেন।
এ ঘটনায় মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
মেসেঞ্জার/শুভ/তুষার