
ছবি : মেসেঞ্জার
মাগুরা সদরের কাদিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইজিবাইক চালক সাহাবুদ্দিন। বাড়িতে আত্মীয় আশায় বাজারে এসেছেন গরুর মাংস কিনতে। শহরের পুরাতন বাজার থেকে ১০০০ টাকার বিনিময়ে কিনেছেন দেড় কেজি গরুর মাংস। মাংস নেওয়ার পর দেখেন তার মধ্যে বেশিরভাগ চর্বি। এরপর অন্য দোকানে গিয়ে মেপে দেখেন দেড় কেজি মাংসের মধ্যে সাড়ে ৬০০ গ্রাম চর্বি রয়েছে।
এমন সময় রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পুরাতন বাজার এলাকায় চলছিল যৌথ বাহিনীর বাজার তদারকি। উপস্থিত যৌথ বাহিনীর সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেন এই ইজিবাইক চালক। তার অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন বাজারে অবস্থিত চঞ্চলের মাংসের দোকানে গিয়ে মেলে ঘটনার সত্যতা। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেই চর্বি বাদ রেখে ইজিবাইক চালককে মাংসের দোকানদারের জরিমানাস্বরূপ দুই কেজি সলিড মাংস দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই মাংস বিক্রেতাকে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করতে সতর্ক করে দেন তারা।
এর আগে শহরের পুরাতন বাজারে অবস্থিত মেসার্স ভাই ভাই স্টোরে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের কারণে ত্রিশ হাজার টাকা ও মেসার্স দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মাংস ক্রেতা ইজিবাইক চালক শাহাবুদ্দিন বলেন, বাড়িতে আত্মীয় আসায় তিনি গরুর মাংস কেনার জন্য ওই মাংসের দোকানে যাই। দোকানদার ৭০০ টাকা কেজি দরে দেড় কেজি মাংসের জন্য ১০৫০ টাকা চাই। আমি ১০০০ টাকায় দেড় কেজি মাংস দেওয়ার অনুরোধ করি। দোকানদার আমাকে দেড় কেজি মাংস দিলেও পরে দেখি তার মধ্যে সাড়ে ৬০০ গ্রাম চর্বি। আমি গরিব মানুষ কষ্ট করে দেড় কেজি মাংস কিনে যদি সাড়ে ৬০০ গ্রাম চর্বি পেলাম। দেশটা যেন মগের মুল্লুক হয়ে গিয়েছে। যে যা পারছে তাই করছে। আমরা গরীব মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমরা এ অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছি। মাংস ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে সেই দোকানটিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। দোকানদারকে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করতে সতর্ক করা হয়েছে। তবে পুরা রমজান মাসে জুড়ে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মেসেঞ্জার/তুষার