
ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় পদুয়া ইউনিয়নের আলী সিকদার পাড়ায় জায়গা-জমি বিরোধের ঘটনায় নিহত চাচা মাহমুদুল হককে খুনের ঘটনায় ভাতিজাকে আটক করে থানা পুলিশ।
মামলা রুজুর তিন ঘণ্টার মধ্যে ২৫ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানা পুলিশের টিম কেয়াজু পাড়া এলাকা থেকে চাচাকে খুনের ঘটনার প্রধান আসামি মুজিবুর রহমান (৪০) কে আটক করে।
আটক মজিব আলী সিকদার পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র।
এ ঘটনায় নিহত মাহমুদুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (২৬) বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মজিবুর রহমান (৪০), মোস্তফিজুর রহমান (৩৫), হাছানের পুত্র শাকিল (২৫) ও মৃত আবু বক্করের পুত্র মাঈনুদ্দীন (৪৫) সহ কে ৫/৬জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ, দীর্ঘদিন ধরে চাচা মাহমুদুল হকের সাথে মজিবুর রহমানের পরিবারে জায়গা-জমি বিরোধ চলে আসছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধারালো দা,গাছের লাঠি ও বাটাম দিয়ে পদুয়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ড মেম্বারের পূর্ব পার্শ্বে বাদির দখলীয় জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে বিবাদীরা ঘেরাবেড়া দেয়। বাদীর পিতা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বারকে অবহিত করলে মেম্বার দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। বাদির পিতা কাজে নির্মাণে বাঁধা প্রদান করে।তখন বাদীর পিতার সাথে বিবাদীগণের কথাকাটাকাটি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাদীর পিতা মাহমুদু্ল হককে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে মাটিতে পড়ে। দ্রুত স্বজনেরা উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাড়ে ১০টার দিকে মাহমুদুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলা রুজুর তিন ঘণ্টার মধ্যে কেয়াজু পাড়া এলাকা থেকে চাচাকে খুনের ঘটনার প্রধান আসামী মজিবুর রহমানকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মেসেঞ্জার/রায়হান/তুষার