
ছবি : মেসেঞ্জার
সাগরে মাছ ধরার সময় আটক রোহিঙ্গাসহ ২৯ জেলেকে ফেরত দিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি ও ১৪ জন রোহিঙ্গা। গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি নাফনদের মিয়ানমার সীমানা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক হন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টার দিকে তারা টেকনাফ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিতে পৌঁছান। এর আগে নাফনদের শূন্যরেখায় জেলেদের গ্রহণ করেন বিজিবি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সাগরে মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফেরার পথে ২৯ জেলেকে আটক করেছিল আরাকান আর্মি। বিজিবির সহায়তায় তারা বৃহস্পতিবার বিকালে ফেরত আসেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া প্রসঙ্গে ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, হয়তো অনেক সময় তথ্য গোপন করে অথবা কোন অসদুপায় অবলম্বন করে তারা বাংলাদেশী জেলেদের সঙ্গে সাগরে যেতেন। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আরো সচেষ্ট থাকবে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, সাগরে মাছ শিকারের সময় আরাকান আর্মি মিয়ানমার জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে ৬ টি ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ ২৯ জেলেকে আটক করেছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশী জেলেদের ফেরত আনতে বিজিবির হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে আরাকান আর্মির সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করে বিজিবি। ধারাবাহিক যোগাযোগের এক পর্যায়ে জেলেদের ফেরত দিতে সম্মত হয় আরাকান আর্মি। তারই ফলশ্রুতিতে আজ (বৃহস্পতিবার) জেলেদের ফেরত দেয়া হয়েছে।
ফেরত আসা জেলে শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসান বলেন, আমরা সাগরে মাছ ধরা শেষে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়ার পাশ দিয়ে নাফনদে ঢুকেছিলাম। এসময় আরাকান আর্মি স্পীড বোটে নেমে আমাদের ধরে নিয়ে যায়। একসময় এ ধরনের সামান্য সীমানা অতিক্রম করলেও মিয়ানমার বাহিনী সমস্যা করতেন না। রাখাইনে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে জলসীমায় তারা তেমন ছাড় দিচ্ছেন না। তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমাদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রী পাড়া ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান বলেন, জেলেদের মাছ ধরার সময় মিয়ানমার জলসীমা অতিক্রম না করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া থাকে। এরপরও অনেক সময় অসতর্কতায় বা স্রোতের টানে মাছ ধরার নৌকাগুলো মিয়ানমার জলসীমা অতিক্রম করে ফেলে। এ বিষয়ে জেলেদের আরো বেশি সচেতন করা হবে।
মেসেঞ্জার/তুষার