ঢাকা,  রোববার
০২ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

লক্ষ্মীপুরে খোয়াসাগর দিঘির সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০০, ১ মার্চ ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে খোয়াসাগর দিঘির সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন

ছবি : মেসেঞ্জার

লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী খোয়াসাগর দিঘির সৌন্দর্যবর্ধন ও বোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সহযোগিতার শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে পৌর শহরের দালাল বাজার এলাকায় খোয়াসাগর পাড়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেপি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাস, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী প্রমুখ।

পরে খোয়াসাগর দিঘির পর্যটন এলাকা পরিষ্কার রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের জন্য ডাস্টবিন বিতরণ করা হয়।

এর আগে বোটিং কার্যক্রম উদ্বোধন পর টিকেট কেটে বোটেকরে খোয়াসাগর দিঘির সৌন্দর্য উপভোগ করেন অতিথিরা।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী খোয়াসাগর দিঘির সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসক। তারই অংশ হিসেবে পর্যটকদের কাছে দিঘির চারপাশ আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে।

এছাড়া পর্যটকরা যাতে বোটেকরে দিঘির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে সে জন্য চারটি নতুন বোট দেওয়া হয়েছে। এতে করে টিকেট কেটে বোর্টিংএর মাধ্যমে পর্যটকরা দিঘির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার তার বক্তব্যে বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কারণে সারা বিশ্বে আমাদের পরিচিতি রয়েছে। একটি দেশের পর্যটনের কারণে সে দেশ কতোটা পরিচিতি পেতে পারে তার জলন্ত উদাহরণ মালদ্বীপ।

আমাদের দেশেও পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ঋতুবৈচিত্র্যে বাংলাদেশ সত্যিই অপরূপ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিরূপ আমাদের দেশটির সবুজ উপভোগ করার মধ্যে আছে অন্যরকম আনন্দ। ভ্রমণ করে আমরা জমে থাকা ক্লান্তি ভুলে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু ভ্রমণকারী বা পর্যটক কতটা সচেতন আর পরিবেশবান্ধব থাকছেন? সেই প্রশ্নটি কিন্তু থেকেই যায় সব সময়। দূষণকারী হিসেবে প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন দিঘিতে যারা ফেলছেন, প্রত্যেক পর্যটকের ওপরই এর দায় বর্তায়। তাই এ বিষয়ে পরিবেশবান্ধব ও সচেতন পর্যটক হিসেবে নিজেকে পরিবর্তনের দায়িত্ব নিতে হবে প্রত্যেককেই।

মেসেঞ্জার/শিবলু/তুষার

আরো পড়ুন