
ছবি : মেসেঞ্জার
বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘যেভাবে বাংলাদেশ এতোদিন চলেছে, সেভাবে আগামীতে আর চলবে না। সবাই সাথে থাকলে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটা তরান্বিত হবে। আর যদি সেটা সম্মিলিতভাবে না হয়, তাহলেও ইতিবাচক পরিবর্তন হবে, তবে সেটার পথটা হবে সংঘামতয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের হলরুমে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি জানি সকল সরকার আসে, পুলিশ সংস্কারের কথা বলে, পরির্বতনের কথা বলে। ১/১১ সরকারের সময়ে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছিলো। আমরা দেশটাকে কখনো পারফেক্ট সিস্টেমে চালায়নি। এখনো দেশটা পারঠেক্ট সিস্টেমে চলবে, দেশের আইন কানুন বা প্রশাসনের ব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে এটা সেরকম না।’
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘ন্যায় বিচার একটা কঠিন বিষয়। সুরা বাকারাতে আল্লাহ তায়ালা সুস্পস্টভাবে বিচারকের দায়িত্ব কি সেটা বলেছেন।আপনি এডমিনেসট্রেটর হলেও কিন্তু আপনার মধ্যে একটা ক্ষমতা থাকে। কারণ আপনার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই মামলা পরিচালিত হয়।’
সৈয়দা রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘আইনে আরেকটা কথা আছে, ইট ইজ বেটার দ্যান সেভারেল গিলটি পারসন এস স্কেইপ এন্ড ইনোসেন্ট পারসন সাফার। অনেক সময় আমরা মিথ্যা মামলায় মানুষকে ফাঁসিয়ে দেই। অথবা মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গেছে জেনেও রাজনৈতিক প্রভাবে আমরা লোকটাকে মুক্ত করি না। এগুলো কালচার থেকে যখন আমার এডমিনিস্ট্রেশন এবং পুলিশ এডমিনেস্ট্রেশনে পরিবর্তন আসবে। তখন আশা করি বাংলাদেশ একটা ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে যাবে।’
রিজওয়ানা বলেন, ‘শেষ কথা হচ্ছে যেভাবে বাংলাদেশে এতোদিন চলেছে। আগামীতে বাংলাদেশ আর সেভাবে চলবে না। ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটা তরান্বিত হবে যদি আপনারা সকলে আমাদের সাথে থাকেন। আর যদি সেটা না হয়। সম্মিলিত প্রয়াশটা করতে না পারি। তাহলেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু সেটার পথটা হবে অনেক বেশি সংঘাতময়। আমি চাই সেটা না হোক। আমরা সকলেই সকলের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবো এবং পরিবেশটা সমুন্নত রাখতে এনি এনভায়রনমেন্টাল প্রবলেম যেহেতু আমরা পার্ট অব কান্ট্রি সেকারণে সবাই মিলে সমাধানে কাজ করবো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, আইজিপি বাহারুল আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটরিয়াল অ্যাডভাইজার এহসানুল হক সমাজী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহাবুবুর রহমান। কর্মশালায় আইনশৃঙখলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/তুষার