
ছবি : মেসেঞ্জার
ইবাদতের মারকাজখ্যাত চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে পবিত্র রমজানের প্রথম জুমার নামাজে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসা মুসল্লীদের ভীড়ে শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় এই পবিত্র স্থান।
জুময়ার দিন বেলা ১১টার মধ্যেই মসজিদের ভেতরে মসুল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। রোজাদরগণ আল্লাহর সান্যিধ্যের আশায় কেউ নফল নামাজ, কেউ বা কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকে। জুময়ার আযানের পূর্বে মসিজদের ভেতর ও দ্বিতীয় তলা পরিপূর্ণ হয়ে চাঁদপুর-কুমিল্ল আঞ্চলিক মহাসড়কে নামাজ আদায় করে মুসল্লিরা।
জুময়ার নামাজের ইমামতি করেন মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আবদুর রউফ। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
কুমিল্লা থেকে আসা জহির হোসেন বলেন, প্রতি বছর অন্তত হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে আসার চেষ্টা করি, রমজানের প্রথম জুমায় আসতে পারা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি অনুভব করি, যা অন্য কোথাও পাই না। মসজিদের ইতিহাস, স্থাপত্যশৈলী আর পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায়।
চাঁদপুর থেকে আসা আবদুর রহিম জানান, প্রতি রমজান মাসেই এ মসজিদে জুময়ার নামাজ পড়ার চেস্টা করি। সকাল ১১টার মধ্যেই আমরা কয়েকজন বন্ধু চাঁদপুর থেকে একসাথে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জে চলে আসি। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে বিশাল জামায়াতে নামাজপড়ে তৃপ্তি পাই। এতো বিশাল জামায়াত অত্র অঞ্চলের আর কোথাও অনুষ্ঠিত হয় না।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের মোতাওয়াল্লি প্রিন্স শাকিল আহমেদ বলেন, রমজানের প্রথম জুমা থেকে শুরু করে প্রতি জুময়াতে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভীড় থাকে। বিশেষ করে জুময়াতুল বি’দায় প্রায় লক্ষাধীক মুসল্লি এ মসজিদে এক সাথে জুময়ার নামাজ আদায় করে।
তিনি বলেন, তারাবির নামাজের জন্য মসজিদের পেশ ইমামের পাশা-পাশি আরো দু’জন স্বনামধন্য হাফেজ দিয়ে খতম তারাবি পড়ানো হয়। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই শ মানুষ ইফতার করেন, কখনো সংখ্যা আরও বাড়ে। রমজানে দূরদূরান্ত থেকে অনেক মুসল্লি আসেন, তাই তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
মেসেঞ্জার/তুষার