
ছবি : মেসেঞ্জার
শনিবার (৮ মার্চ) চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় ৩ জন আসামিকে গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরা হলো দর্শনা থানাধীন হুলিয়ামারি মিয়া পাড়া গ্ৰামের মৃত শরীফ উদ্দিনের ছেলে এবং এজাহারে বর্ণিত ৪নং আসামি তসলিমুজ্জামান সাগর মেম্বার, গিরিসনগর বাজার পাড়ার আ. খালেক ত্রিপুরার ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৬ নং আসামি বিল্লাল হোসেন এবং গিরিসনগর মোল্লা পাড়ার মৃত সাহেব আলীর ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৩৭ নং আসামি আছের উদ্দিন মান্দার মেম্বার।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীরের নের্তৃত্বে দর্শনা থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার সময় গিরিসনগর মাঠ থেকে তাদেরকে গ্ৰেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্ৰেপ্তার তিন ঘাতকের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি রামদা ও ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী নাহিদা আক্তার মুক্তা তার স্বামীকে হত্যার দায়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৭, তারিখ ০৯/০৩/২০২৫।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, চাঞ্চল্যকর রফিকুল হত্যা মামলার অন্য আসামিদের গ্ৰেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা গ্ৰেপ্তার হবে।
ভিজিএফ ও টিসিবি'র কার্ডের তালিকা করা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে স্থানীয় বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর শনিবার রাতেই তিতুদহ কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
মেসেঞ্জার/লিটন/তুষার