ঢাকা,  বুধবার
১২ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

ফুলে ফুলে ভরে গেছে শ্রীমঙ্গলের সূর্যমুখী বাগান

আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১২ মার্চ ২০২৫

ফুলে ফুলে ভরে গেছে শ্রীমঙ্গলের সূর্যমুখী বাগান

ছবি : মেসেঞ্জার

শ্রীমঙ্গলের সূর্যমুখী বাগানগুলো ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। সূর্যমুখীর প্লটগুলোতে এখন ফুলের সমারোহ। দৃষ্টিনন্দন ফুল হিসেবে সূর্যমুখী সবার কাছে সমাদৃত। চাষিরাও খুব খুশি। অল্প খরচে সূর্যমুখী চাষে লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছেন সূর্যমুখী চাষিরা।

জানা গেছে, সূর্যমুখী এক ধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। অনন্য সুন্দর ফুল সূর্যমুখী গাছ লম্বায় ৩ মিটার (৯.৮ফুট) হয়ে থাকে। ফুলের ব্যাস ৩০ সেন্টিমিটার (১২ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়। এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মতো এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর এরুপ নামকরন।  এর বীজ তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। বাংলাদেশেও একটি তেল ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে খুব ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভাটামিন এ, ডি এবং ই রয়েছে। এটি পুষ্টিগুনে ভরপুর।

শ্রীমঙ্গল কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানায়, ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সরকারিভাবে প্রথম সূর্যমুখী চাষ শুরু হয়। তখন চাষীদের প্রশিক্ষণসহ রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রশিক্ষন ভাতা ও প্রণোদনা বাবদ সার ও বীজ দেয়া হয়। তাছাড়া প্রদর্শনী প্লটের পরিচর্যা, সেচ, আগাছা ও পোকা-মাকড় দমন বাবদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।

চলতি ২০১৯-২০২০ মৌসুমে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৩৭০ জন চাষিকে সূর্যমুখী চাষের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়। সেসময় শ্রীমঙ্গলে ৫২ হেক্টর অর্থাৎ ১২৯ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়। চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৮ হেক্টর জমিতে সুর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এবার প্রণোদনার অংশ হিসেবে কৃষকদের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭৫ সাল থেকে সুর্যমুখী একটি তৈল ফসল হিসেবে বাংলাদেশে আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, নাটোর, পাবনা, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল এবং মৌলভীবাজার জেলায় সুর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হচ্ছে।

সূত্র জানায়, সুর্যমুখী তেল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তেল যা রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। ভোজ্যতেলের মধ্যে সূর্যমুখী অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর অর্থাৎ পুষ্টিমানে সর্বোত্তম। এক কথায় সূর্যমুখী তেল মানে-গুনে অনন্য। এ তেল হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। কারণ এতে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে না।

সূর্যমুখী তেল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। হাড়ের সমস্যা সমাধানে কার্যকর। ত্বকের যতেœ অতুলনীয়। শরীরের ব্যথা ও ক্ষয়রোগ দূর করে। হজমে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

মেসেঞ্জার/তুষার