
ছবি: মেসেঞ্জার
খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ব্যবসায়ীকে মারপিট ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করেছে কয়রা সদরের দেউলিয়া বাজারের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। একইসাথে চাঁদা দিতে ওই নেতার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি পাওয়ার অভিযোগও করেছেন তিনি।তবে ব্যবসায়ীর অভিযোগ মিথ্য,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবী ওই যুবদল নেতার।
বৃহষ্পতিবার (১৩ মার্চ) কয়রা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি দেউলিয়া বাজারে ২০ বছর ধরে পুরাতন লোহা ক্রয় বিক্রয় করে থাকি।গত সোমবার(১০ মার্চ) সকাল ১০টার সময়ে কাঁচা বাজার করতে দেওলিয়া বাজারে আসলে বাগালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মামুনুর রশীদ ও ১নং কয়রা গ্রামের আবু বক্কার মোড়লের ছেলে এনামুল মোড়ল আমাকে ডেকে বাজারের পিছনে এনামুলের বাড়িতে নিয়ে যায়।
বাড়ীতে গেলে কোন কথা ছাড়াই এনামুল মোড়ল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করতে থাকে। আমাকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে মামুনুর রশীদ আমার উপর চড়াও হয়।এসময় আমার পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও আমার ব্যবহৃত বাটন ফোনটি কেড়ে নেয়।আমাকে আটকিয়ে রেখে মামুনার রশীদ কয়রা বাজার থেকে ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি ফাঁকা স্ট্যাম্প নিয়ে আসে এবং তাতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিতে চায়। আমি স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করি।এসময় এনামুল মোড়ল মুরগী কাটা চাপাতি দিয়া আমার হাত কেটে ফেলার হুমকি দেয়। তাবুও আমি স্বাক্ষর দিতে অস্বিকার করি।এই কথা শোনার সাথেসাথে মামুনুর রশীদের হাতে থাকা লোহার চেইন দিয়া আমার হাতে আঘাত করে। ভীত-সন্ত্রস্ত হইয়া ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিতে আমি বাধ্য হই।
ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন আরও বলেন,আমাকে দেউলিয়া বাজারে ব্যবসা করতে হলে তাদের দুজনকে পার্টনার রাখতে হবে।নইলে তাদেরকে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা নাদিলে উক্ত ফাঁকা স্ট্যাম্পে মোটা অংকের টাকা বসায়া চুক্তিপত্র তৈরি করে মামলা করার হুমকি দেন। এই বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করিতে নিষেধ করেন।অভিযোগ করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাগালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশীদ বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট।২০২৩ সালের ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে বিল্লাল হোসেন ও স্হানীয় আরেক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের মাঝে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।ওই সময়ে ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের সাথে আমার মামা এনামুল মোড়লের সক্ষতা থাকায় বিল্লাল হোসেন আওয়ামীলীগের গুন্ডা মফিজুলকে দিয়ে মামাকে অপমান করায়।এই বিষয় নিয়ে গত সোমবার এনামুল মামা আর বিল্লাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়।ওই সময় আমি সেখানে উপস্হিত ছিলাম।চাঁদা দাবি, ব্যবসায়ীকে মারপিট ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার কোন ঘটনায় ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন অভিযোগ।
মেসেঞ্জার/কামাল/জেআরটি