
ছবি : মেসেঞ্জার
ঝিনাইদহের শৈলকূপার গড়াই নদী পাড়ের লোকালয় থেকে ধরা পড়েছে একটি কুমির। বুধবার (১২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের গড়াই নদী পাড়ের সুবিদ্দা গোবিন্দপুর গ্রামের খিলাফত মেম্বারের বাড়িতে উঠে আসছিল। এসময় গ্রামবাসী দেখতে পেয়ে মাছ ধরা জাল দিয়ে কুমিরটিকে ঘেরাও করে ধরে ফেলে।
বুধবার গভীর রাতেই খুলনা বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে কুমিরটি নিয়ে গেছে।
শিমুল খান নামের এলাকাবাসী জানান, গড়াই নদী থেকে প্রায় ৪শ ফুট উপরে ৬ নম্বর ওয়ার্ড খিলাফত মিয়ার বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। সে সময় পাতার উপর দিয়ে যাওয়ার অবস্থায় খড়-মড় আওয়াজ শুনে এলাকাবাসী কুমিরটিকে দেখতে পায়। এরপর মাছ ধরা জাল দিয়ে কুমিরটিকে ঘেরাও করে ধরে ফেলে তারা। পরে কুমিরটিকে মজবুত করে বেঁধে এলাকায় আনন্দ মিছিল করে এলাকাবাসী।
ডেভিড মিয়া নামের গ্রামবাসী জানান, দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে আমরা গড়াই নদী পাড়ের মানুষ কুমির আতঙ্কে ছিলাম। কুমিরটা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট লম্বা হবে। তবে পুরুষ না মেয়ে তা জানা সম্ভব হয়নি। তবে আরও কমপক্ষে দুইটা কুমির আছে বলে ধারনা দেন তিনি।
শৈলকূপা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান জানান, কুমিরটি এলাকাবাসী ধরে প্রথমে খুলমবাড়িয়া স্কুল মাঠে রাখে। তারপর ভ্যানে করে শৈলকূপা থানায় নিয়ে আসে। আমরা কুমিরটিকে জাল দিয়ে ও দড়ি দিয়ে বাধা অবস্থায় পাই। বুধবার গভীর রাতেই খুলনা বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে কুমিরটি নিয়ে গেছে।
ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়েই কুমিরটিকে উদ্ধারের জন্য সেখানে লোক পাঠিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করি এবং বুধবার গভীর রাতেই খুলনা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে কুমিরটি হস্তান্তর করা হয়।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও কুমিরটিকে জনতার হাত থেকে জীবিত উদ্ধার করতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তাই আমরা কুমিরটি জীবিত উদ্ধার করে থানাতে রাখি। যা পড়ে খুলনা বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে কুমিরটি নিয়ে যায়।
মেসেঞ্জার/বিপাশ/তুষার