
ছবি : মেসেঞ্জার
দুর্নীতির অভিযোগে নোয়াখালী হাতিয়া কমিউনিটি কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কলেজ পরিদর্শনে এলে স্থানীরা তার কাছে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে এই বিক্ষোভ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাহাজমারা বাজারে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় অভিবাবক, সাবেক ছাত্র, ব্যবসাযী, রাজনৈতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৫শতাধিক মানুষ। বিক্ষোভ মিছিলটি জাহাজমারা বাজার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
পরে কলেজ হলরুমে স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু। স্থানীয়দের দাবি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের একজন সক্রিয় কর্মী ছিল। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেধাবী শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন সময় লাঞ্চিত ও অপসারণ করেন। শিক্ষকদের প্রনোদনার অর্থ আত্মসাৎ। বোর্ড কতৃক ফরম ফিলাপের নির্ধারিত অর্থের তিনগুন টাকা আদায়। কলেজের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ। ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তাকে অপসারণ দাবি করা হয়। এসময় কলেজ থেকে অপসারিত হওয়া কয়েকজন শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, সাবেক ছাত্রসহ এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু বলেন, আমি এলাকাবাসীর দাবির সাথে একমত। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা সবাই জিম্মি ছিলাম। আমি প্রতিষ্ঠাতা হয়েও কলেজের দেখভাল করতে পারিনি। এখন থেকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। পূর্বে জোরপূর্বক অপসারণ করা শিক্ষকদের পূর্ণবহাল করা হবে। আমি আগেও কলেজের শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালিয়ে গিয়েছিলাম, এখন থেকে এমপিওভূক্তি হওয়া পর্যন্ত আবারো চালিয়ে যাবো। কলেজটি সুন্দরভাবে চলার জন্য আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলের ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ার পথ সুগম করতে ২০০২ সালে হাতিয়া কমিউনিটি কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাহাজমারা বাজাররের পশ্চিম পাশে এক একর জায়গার উপর কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি সুনামের সাথে চলে আসলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দুর্নীতির কারণে বর্তমানে কলেজটি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
মেসেঞ্জার/জিল্লুর/তুষার