ঢাকা,  শুক্রবার
১৪ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

আশুলিয়ায় ২ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ সৎ বাবার বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার)

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ১৩ মার্চ ২০২৫

আশুলিয়ায় ২ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ সৎ বাবার বিরুদ্ধে, গ্রেপ্তার ১

ছবি : মেসেঞ্জার

ঢাকার আশুলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে শাবলু মাতব্বর (৪০) নামের এক সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের আরেক ঘটনায় লুৎফর রহমান নামের অপর সৎ বাবা পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন।

এর আগে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার কেছু মুন্সির বাড়ি থেকে শাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাবলু মাতব্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার নাসিরাবাদ দরগারপাড় এলাকার মৃত রফিক মাতব্বরের ছেলে। অপর ঘটনায় পলাতক সৎ বাবার নাম লুৎফুর রহমান (৪৮)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার চিলমারী গ্রামের নুর মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার কেছু মুন্সীর বাড়িতে শাবলু মাতাব্বর, তার স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ১৪ বছর ও ৮ বছরের দুই মেয়েসহ বসবাস করে আসছিলেন। ভুক্তভোগীর মা সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। শাবলু কোনও ধরনের কাজ না করায় বাসায় থাকতেন।

এই সুযোগে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৪ বছরের সৎ মেয়েকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ বুধবার রাতে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় শাবলুকে থানায় সোপর্দ করে স্থানীয়রা।

এদিকে প্রথম স্বামী মারা গেলে লুৎফর রহমানকে বিয়ে করেন তিন কন্যা সন্তানের জননী। গত দুই বছর ধরে তারা সবাই একই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু গত ৮ মার্চ রাত ১০টার দিকে স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় লুৎফর রহমান। স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলে রাত ২টার দিকে পাশের কক্ষ থেকে কৌশলে শিশু মেয়েকে ডেকে তুলে খাবার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই শিশুর চিৎকারে অপর দুই মেয়ের ঘুম ভাঙে। তারা খাবার ঘরে এসে দেখলে লুৎফর দৌড়ে অপর কক্ষে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে দেয়। সকালে পালিয়ে যায় সে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, ধর্ষণের পৃথক ঘটনা রয়েছে। একটি ঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে অন্য আসামিদের সঙ্গে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে অপর অভিযুক্তকে আটকে অভিযান চলমান রয়েছে।

মেসেঞ্জার/নোমান/তুষার