
ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এনামুল হকের ব্যক্তিগত প্রেস সচিব জিল্লুর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজশাহী শহরের কাজলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমান শ্রীপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন গাইনের ছেলে। তিনি বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গতবছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী ও এক যুবদল নেতাকে গুলি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি, মারধর, নিয়োগ-বাণিজ্য ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, জিল্লুর রহমান পলাতক থেকে দলীয় কর্মীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলীয় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়। ঐ গ্রুপের উত্তরাঞ্চলের অ্যাডমিন জিল্লুর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি এনামুল হকের ব্যক্তিগত প্রেসসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্থানীয়রা জানান, এনামুল হক এমপি থাকার সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে স্থানীয় কিশোরদের নিয়ে গঠিত বাহিনী সরকার বিরোধীদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাগমারা থানার মোড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে গুদাম তৈরির অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি এলাকায় রাসায়নিক সার বিক্রি করতেন। এ জন্য এলাকায় তিনি ‘সার জিল্লুর’ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে জিল্লুরের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বাগমারার শ্রীপুর বাধের বাজারে স্থানীয়রা উল্লাস প্রকাশ করেন। শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাফি জানান, শ্রীপুর এলাকার ত্রাস ছিলেন জিল্লুর। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় এলাকার মানুষ। শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাম পারভেজ জানান, সার জিল্লুর মূর্তিমান আতঙ্ক। বিএনপি ছাড়াও আওয়ামী লীগের লোকজনও তাঁর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবারই তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তিনি আওয়ামী লীগের অনলাইন ভিত্তিক হোয়াটসআপ গ্রুপের অ্যাডমিন বলে জানা গেছে। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার