
ছবি : মেসেঞ্জার
খুলনার কয়রায় বাগালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ব্যবসায়ীকে মারপিট ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে ব্যবসায়ীর করা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই যুবদল নেত।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২ টায় কয়রা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে দেউলিয়া বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের করা সংবাদ সম্মেলন মিথ্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি মামুনুর রশীদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেউলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী এনমুল হক, এনামুল মোড়ল, আব্দুল হালিম, আরাবি হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামুনুর রশীদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট। ২০২৩ সালে ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে বিল্লাল হোসেন ও স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের মাঝে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। ওই সময়ে ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের সাথে আমার মামা এনামুল মোড়লের সক্ষতা থাকায় বিল্লাল হোসেন আওয়ামী লীগের গুন্ডা মফিজুলকে দিয়ে মামাকে অপমান করায়।
এই বিষয় নিয়ে গত সোমবার এনামুল মামা আর বিল্লাল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। চাঁদা দাবি, ব্যবসায়ীকে মারপিট ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার কোন ঘটনায় ওখানে ঘটেনি। আমাকে এবং যুবদলকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন অভিযোগ। এহেন মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, যুবদলের নেতা মামুনুর রশীদ ও তার মামা এনামুল মোড়ল আমাকে মারপিট করে জোরপূর্বক ৪০ হাজার টাকা ও আমার ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। আমাকে আটকিয়ে রেখে তারা ৩টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে। আমি কয়রায় দায়িত্বরত নৌবাহিনীর কমান্ডার বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগও জানিয়েছি।
মেসেঞ্জার/কামাল/তুষার