
ছবি : মেসেঞ্জার
ভিটামিন ‘এ’র ঘাটতি জনিত শিশুর সংখ্যা সারাদেশের মধ্যে রংপুর বিভাগের তৃতীয় অবস্থানে। এই বাস্তবতায় রংপুরে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৫০ লাখ শিশুকে এবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো কার্যক্রম চলছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়েছে রংপুর বিভাগের প্রতিটি প্রান্তে এই কার্যক্রম। চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
রংপুর সিটি করপোরেশনেরর আস্থ্য শাখা জানিয়েছে, মহানগর এলাকার ৩৩ টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ ১৪টি সহ ২৯৭ টি কেন্দ্রের ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলছে। এজন্য ৬৬৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছে।
অন্যদিকে, সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, জেলার আট উপজেলায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এজন্য ১ হাজার ৮৩২ কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছে। ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সিদের জন্য নীল রং এবং ১১২ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সি শিশুদের জন্য লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
রংপুর নগর ভবন, সদর হাসপাতাল, কামারপাড়া, গুড়াতিপাড়া, আলমনগর, স্টেশন, বাস-টার্মিনাল কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অভিভাবকদের কোলে চড়ে আসছে শিশুরা। খাওয়াচ্ছেন টিকা। ব্যবস্থাপনায় খুশি অভিভাবকরা।
আতিকুর রহমান নামের এক অভিভাবক জানালেন, ‘তার একটি বাচ্চার বয়স ১ বছর ৮ মাস, আরেক জনের ৪ বছর। সুন্দর পরিবেশে টিকা খাওয়ালাম। তিনি আরও জানালেন, আমাদের বাড়ি নীলফামারী। কিন্তু রংপুরে খাওয়াতে পারছি। এটা ভালো উদ্যোগ।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পুস্টিসেবা ২০২৫ এর পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, সারাদেশের মধ্যে বিভাগওয়ারী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব সর্বোচ্চ সিলেট বিভাগে ৬৬ দশমিক ২০ ভাগ। এরপরই রাজশাহী বিভাগে ৬৪ দশমিক ২০ ভাগ। রংপুর বিভাগে ৫৫ দশমিক ১০ ভাগ শিশু ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে ভুগছে।
এ বিষয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ জানান, যেহেতু সারাদেশের মধ্যে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি রংপুর বিভাগে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তাই অভিভাবকদের সচেতন হয়ে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো উচিত। এই বিভাগের মানুষ ফলমুল ও শাকসবজি খাওয়াতে চান না শিশুদের। তাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শিশুদের ফলমুল ও শাকসবজি বেশি করে খাওয়াতে হবে।
মেসেঞ্জার/তুষার