ক্যাপশন : বগুড়া জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্মানে শনিবার (১৫ মার্চ) সরকারি আজিজুল হক কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ইফতার ও জুলাই আগস্ট এর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশরাক হোসেন -টিডিএম।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আগামী নির্বাচন সহজভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। সেটিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। আমাদের কর্ম দিয়ে জনগণের সমর্থন অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী দিনের রাজনীতি কঠিন হবে। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুথানের পর ছাত্রদের উপর জনগণের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে গণঅভ্যুত্থান স্পিরিট বুকে ধারণ করে রাজনীতি পরিবর্তন, সংস্কার করতে হবে।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্মানে শনিবার (১৫ মার্চ) সরকারি আজিজুল হক কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ইফতার ও জুলাই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশরাক কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার দেড় বছর পূর্বে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এখন যেই সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেই সংস্কারের কথা সর্বপ্রথম বিএনপি প্রস্তাব করেছে। একদলীয় বাকশালকে বাতিল করে বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, এর চাইতে বড় সংস্কার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর নেই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে নেতারা ছিলেন, মুখপাত্ররা ছিলেন তারা এক নতুন দল গঠন করেছে, আমরা তাদেরকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানাই।
একটা পক্ষ বিভিন্নভাবে সরকারের ভিতর থেকে ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সেটাকে স্থায়ী করা হোক, বাংলাদেশের নির্বাচন যেন আর কোনদিনও লুট করতে না পারে, সেটার জন্য যা যা সংস্কার করার দরকার দ্রুত করতে হবে।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনার বিচার আর কেউ করুক আর না করুক বিএনপি করবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিশু থেকে নারী কেও রক্ষা পায়নি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। দেশের মানুষ কোনদিনও এগুলো ভুলবে না। বহু ছাত্র ভাইদেরকে গুম করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনেক গুম হওয়া নেতাকর্মীর খোঁজ নেই। তাদের পরিবার এখনো জানে না তারা কোথায় আছে।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম প্রমুখ।
ইফতারের পূর্বে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ দেশ ও দশের মঙ্গল কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নামাজে অংশ নেন জনতার মেয়র হিসেবে পরিচিত ইশরাক হোসেন।
পরিশেষে ছাত্রদলের সম্ভাবনাময় নেতৃবৃন্দদের নানা দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়ায় নানা স্মৃতিচারণের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের যাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ইশরাক।
মেসেঞ্জার/তুষার
