
ছবি: মেসেঞ্জার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের আকাঙ্খা আর বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়ে গেছে। আমাদের বর্তমান লক্ষ শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েও আমরা কাজ করবো। তবে প্রধান লক্ষ শিক্ষার মান উন্নয়ন। এছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত চালু আছে তাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেগুলো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামনের বছর থেকে হয়তো আর ভর্তি নেয়া হবেনা। আর যারা আছে তারা আস্তে আস্তে বের হয়ে যাবে।
রোববার সকালে বরিশাল নগরীর সাগরদী এলাকায় পিটিআইতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বরিশালের স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো গত উন্নয়ন দৃশ্যমান। যেসব বিদ্যালয় ২ সিফট চালু আছে সেখানে ১ সিফটে চালানোর চেষ্টা করা হবে।এছাড়া শূন্য পদগুলো পুরনো দ্রুত চেষ্টা করা হবে।প্রাইমারি স্কুল গুলোতে ঠিক মতো পড়াশোনা হচ্ছে না এ কথাটা সত্য নয়। আমাদের অনেক স্কুল আছে যেখানে ভর্তির জন্য তদবির চলে। আমাদের যে অবকাঠামো আছে তা দিয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয় চালানো সম্ভব। তবে অনেক স্কুলে কেন মানসম্মত পড়াশোনা হচ্ছে না সেট খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মানোন্নয়ন করার চেষ্টা করা হবে।
সকল সমস্যার সমাধান করে বিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন করতে পারি। পাশাপাশি প্রজেক্টের নামে যেন টাকা নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পিটিআইতে যে সব সুযোগ সুবিধা আছে তা দিয়েই আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দিতে পারবো। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দ থাকলেও নানা কারনে আমরা কাঙ্ক্ষিত নির্মান কাজ পাচ্ছি না। ফলে আমরা উন্নয়ন কাজ যারা করে তাদের প্রসার ঘটাবো। প্রশাসনের সবাইকে অনুরোধ করবো যখন স্কুল খোলা থাকে তখন যেন শিক্ষকদের অন্য কাজে কম নিয়োগ করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৩ থেকে ১৪ রকম প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে দেশে। আমি চাইলেও সেটা বন্ধ করতে পারবো না। আমরা প্রাইমারী স্কুলে পড়াশোনা করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। তবে কেন আজ এমন অবস্থা। যাদের সামর্থ আছে তারা অলটারনেটিভ অপশন খুঁজে নিয়েছে।
সভায় বিভাগের ৫ জেলার প্রশাসক ও শিক্ষা প্রকৌশলীরা ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাশাপাশি লোকবল সংকট সহ বিভিন্ন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মোঃ শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (পলিসি ও অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান,বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপ পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন সহ বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তারা। পরে বরিশাল মহানগরীর ৩০০ প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করনীয় বিষয়ে মতবিনিয়ম করা হয়।
মেসেঞ্জার/সাঈদ/জেআরটি