
ছবি : মেসেঞ্জার
দেড় বছর ধরে জনবল সঙ্কটে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। উন্নয়নমূলক কাজ তদারকি ও দাপ্তরিক নানা সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বারবার এ দপ্তর থেকে জনবলের চাহিদা পাঠানো হলেও কাঙ্খিত পদায়ন করা হচ্ছে না।
মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী থেকে অফিস সহায়কসহ ১৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী থাকার কথা ৪ জন সেখানে আছেন একজন। উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দু’টি পদই শূন্য।
সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক, উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ক্যাশ সরকার পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহায়কের দু’টি পদই শূন্য। এতগুলো শূন্য পদের বিপরীতে কয়েকজনকে দিন হাজিরা পারিশ্রামিক দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে। যার জন্য ব্যয় হচ্ছে অর্থ।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করে জানান, অনেকগুলো পদ শূন্য থাকায় চলমান প্রকল্পের কাজগুলো প্রকৌশলীরা ঠিকমত পরিদর্শন করতে পারেন না। যার জন্য প্রকল্পগুলো শেষ করতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া অফিসে হিসাবরক্ষক না থাকায় ঠিকমত বিলও পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত শূন্য পদে পদায়ন দিয়ে এ সকল সমস্যার সমাধান করার দাবি জানান তারা।
সরকার না থাকায় হিসাবরক্ষক ও ক্যাশসহ সহকারী হিসাব রক্ষক রিয়াদ হোসেনকে একাই করা লাগছে তিনজনের কাজ। যার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক বেশি সময় এক কাজে ব্যয় হচ্ছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকার আসলাম খান পিন্টু বলেন, ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুলে মেরামতের একটি কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী না থাকায় কাজ হ্যান্ডভার করা যাচ্ছে না। এছাড়া অফিসে লোকবল সঙ্কট থাকায় নানা অসুবিধার সন্মুখিন হতে হচ্ছে।
মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল আহসান বলেন, এ অফিস থেকে বেশ কয়েকজন অন্যত্র চাকরি পেয়ে অব্যাহতি নেওয়ায় এ শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকবার হেড অফিসে চাহিদা পাঠানো হয়েছে জনবল পদায়ন চেয়ে। এখনও পদায়ন করা হয়নি। যার ফলে সাময়িক বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা গেছে, বর্তমানে মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। লোকবল নিয়োগ না হলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পগুলো শেষ না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মেসেঞ্জার/তুষার