
ছবি : মেসেঞ্জার
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় উত্তরাঞ্চলের তালিকাভূক্ত শীর্ষ ২২ মাদক কারবারির অন্যতম হোতা মজনু মিয়ার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ আদেশ প্রদান করেন। এর আগে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন আইনজীবী সন্তোষ কুমার সরকার এবং সরকারের পক্ষে ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত, রংপুরের পাবলিক প্রসিকিউটার এ্যাড. মো. আফতাব উদ্দিন সরকার ও দুনীতি কমিশন পিপি অ্যাডভোকেট হারুন-উর-রশিদ। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি হারুণ অর রশিদ জানান, উত্তরাঞ্চলের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ২২ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ২১ নম্বর মাদক ব্যবসায়ী মজনু মিয়া। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দের ইসলামপুর। তার দুই স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত।
২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের তথ্য যাচাই বাচাই করেন এবং প্রাথমিকভাবে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পান। পরে তাকে সম্পদের তথ্য দাখিলের জন্য বলা হলে মজনু মিয়া নিজ সাক্ষরে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসেব দাখিল করেন।
দাখিলকৃত সম্পদ যাচাইকালে দেখা যায়, তার স্থাবর ও অস্থাবর মোট সম্পদ ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ টাকা। এর মধ্যে তার বৈধ আয় ৭ লাখ ৩৮ হাজার এবং অবৈধভাবে ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ টাকা মাদকের ব্যবসা করে তিনি আয় করেছেন। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে অনুসন্ধান করে অবৈধ সম্পদের খোঁজ পান।
এ অবৈধ আয় অজর্নের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) এর ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
আসামীর পক্ষের আইনজীবী সন্তোষ কুমার সরকার জানান, নথিপত্র তুলে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।
মেসেঞ্জার/তুষার