ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৮ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

স্বস্তির বৃষ্টিতে সতেজ বোরো ধানের চারা, কৃষকের মুখে হাসি

আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ১৭ মার্চ ২০২৫

স্বস্তির বৃষ্টিতে সতেজ বোরো ধানের চারা, কৃষকের মুখে হাসি

ছবি : মেসেঞ্জার

এবার বোরো মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোরো ধান চাষীরা। বৃষ্টির অভাবে পানি শূন্যতায় উপজেলার সবকটি হাওরের বোরো ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। এতে ধানের ফলন কমে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলেন কৃষকরা। বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় শিরনি ও বিশেষ দোয়ার আয়োজনও করা হয়েছিল। শুধু বোরো ধান চাষীরাই নয়, তীব্র খরতাপে প্রকৃতিতেও এক ধরণের অস্বস্তিকর রুক্ষতা বিরাজ করছিল। তবে গত শুক্রবার ও শনিবার স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ায় খুশি কৃষকরা। বৃষ্টির পানিতে এখন টুইটুম্বুর হাওরের বোরো ফসলি জমি। দীর্ঘদিন পর পানি পেয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে বোরো ধানের চারা।

কৃষকরা জানান, এতোদিন পানির অভাবে ধানের চারা শুকিয়ে মারা যাওয়ার অবস্থায় ছিলো। তবে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে এখন আবার বোরো ধান ক্ষেত নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পানির অভাব অনেকটাই পূরণ হয়েছে।

উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বোরো চাষি কাজল মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য আমরা দোয়া করেছিলাম। বৃষ্টি হওয়ায় এখন আমরা খুব খুশি। এতে ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। পানির জন্য আর টেনশন করা লাগবে না।

একই গ্রামের কৃষক আনু মিয়া বলেন, এবছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে, খাল বিলেও এবার পানি পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।

কানলার হাওরের কৃষক দিন ইসলাম বলেন, এখন আর টাকা খরচ করে পানি দেওয়া লাগবে না। বৃষ্টি না হলে পানির জন্য বাড়তি টাকা খরচ করা লাগতো। তিনি আরো বলেন, এতোদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখন ফসলের বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর পোকা মারা যাবে।

উপজোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, হাওরপাড়ের মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি। বোরো ধানকে ঘিরেই নতুন বছরে বৈশাখী উৎসবে মেতে উঠার স্বপ্নে বিভোর থাকেন কৃষকেরা। বোরো ধানের ফসলের ভালো উৎপাদনের জন্য বৃষ্টির খুব প্রয়োজন ছিলো। সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায়  চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। এবার উপজেলা জুড়ে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৯০১ হেক্টর।

দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মহসিন বলেন, বোরো ধানে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা এবার যতটুকু নির্ধারণ করা হয়েছিল তা পূরণ হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধানের চারা এখন সতেজ হয়েছে। আমরা আশাবাদী এই বৃষ্টিতে বোরোধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

মেসেঞ্জার/তুষার