
ছবি : মেসেঞ্জার
খুন, চাঁদাবাজি, অস্ত্র মামলা, মারধরসহ অন্তত ১৫টি মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুটি হত্যা মামলায় তাঁকে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার প্রসিকিউশন মফিজুর রহমান। এর আগে একইদিন দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ।
পুলিশ জানায়, শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে বউকে নিয়ে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের বাজার করতে গিয়েছিলেন সাজ্জাদ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এক যুবক রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সাজ্জাদকে দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজন জড়ো করে তাকে ধরে ফেলে। এ সময় ওই যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মধ্যে সাজ্জাদের জামাকাপড় ছিড়ে যায়। পরে মার্কেটে নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়।
সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। সাজ্জাদ হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের জামাল উদ্দিনের ছেলে। বুড়ির নাতি নামেও পরিচিতি রয়েছে তার।
গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে গত বছরের ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার সমশের পাড়া মেডিকেলের পাশে ফিল্মি স্টাইলে আফতাব উদ্দিন তাহসিন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এতে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে, নগরের বায়েজিদ থানার অনন্যা আবাসিকের অক্সিজেন কুয়াইশ সড়ক হয়ে বাসায় ফেরার সময় আনিস ও মাসুদ কায়ছারকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এতে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার প্রসিকিউশন মফিজুর রহমান।
গত ২৮ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ থানার ওসিকে নগ্ন করে পেটানোর হুমকি দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এ শীর্ষ সন্ত্রাসী। ৩০ জানুয়ারি পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ধরতে নগদ অর্থ পুরষ্কারের ঘোষণাও করা হয়েছিল। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন সেই শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ।
মেসেঞ্জার/সাখাওয়াত/তুষার