ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৮ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

আ’লীগ আমলে এমপির লোক এখন যুবদল নেতা, থানায় চাঁদাবাজির মামলা

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ১৭ মার্চ ২০২৫

আ’লীগ আমলে এমপির লোক এখন যুবদল নেতা, থানায় চাঁদাবাজির মামলা

ক্যাপশন: আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর সাথে যুবদল নেতা ইব্রাহীম (গোল চিহ্নিত) -টিডিএম।

একসময় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় করতেন রাম রাজত্ব। সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী থেকে নিতেন সকল সুযোগ সুবিধা। উপস্থিত থাকতেন আওয়ামী লীগের সকল সভা সেমিনারে। দখল, চাাঁদাবাজীসহ করতেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম। সরকার পতনের পর হঠাৎ করে পরিচয় দিচ্ছেন যুবদলের নেতা হিসেবে। দলের প্রভাব দেখিয়ে আবারো শুরু করেছেন পূর্বের ন্যায় চাঁদাবাজি। এমনি অভিযোগ উঠেছে হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে জহির উদ্দিন নামে একজন ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির অভিযোগে হাতিয়া থানায় মো. ইব্রাহিমকে ১নং আসামি করে একটি মামলা করেন।

মো. ইব্রাহিম জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ম্যাকপাশ্ব্যান গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। সে জাহাজমারা ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের পশ্চিম শাখার সাধারণ সম্পাদক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মো. ইব্রাহীম দলীয় পদবী গোপন রেখে পতিত সরকারের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছে। তার অপকর্মের কথা ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে পারতো না। ভুক্তভোগী জহির উদ্দিন পাওয়ার ট্রিলার, ধান মাড়াই কল, চাষাবাদের ট্রাক্টরের ব্যবসা করতেন। এতে জহির উদ্দিন থেকে ইব্রাহীম প্রায় সময দশ-বিশ হাজার টাকা চঁদা নিতেন। মাঝে মধ্যে টাকা না দিতে পারলে লাঞ্চিত হতে হত এবং কাজ বন্ধ করে রাখতে হত জহির উদ্দিনকে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইব্রাহীম পোষ্টারে ছবি দিয়ে যুবদলের ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে জানান দিতে থাকেন। ভুক্তভোগীকে একাধিক বার ফোন দিয়ে পূর্বের ন্যায় টাকা পাঠাতে বলেন। অন্যথায় ব্যবসায়িক সকল কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

গত সোমবার ১০ মার্চ জাহাজমার ইউনিয়নের দালাল বাজারের উপর জহির থেকে টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জহিরকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং তার বাড়ী ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আহত অবস্থায় জহিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

যুবদলের জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক রিয়াজুল হাসান রাকিব জানান, উপজেলা যুবদলের পক্ষ খেকে ঘটনাটি জানার পর তাকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেন। ঘটনা স্থলে গিয়ে তিনি ঘটনার সত্যতার প্রামাণ পান।

এ বিষয়ে মামলার আসামি যুবদল নেতা ইব্রাহীম বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি কিংবা কারো কাছে চাঁদা দাবি করিনি।

হাতিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, যুবদল নেতা ইব্রাহীমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে।

মেসেঞ্জার/জিল্লুর/তুষার