ঢাকা,  বুধবার
১৯ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

বরগুনায় ধর্ষণ মামলার পরে বাবা খুন

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ১৮ মার্চ ২০২৫

বরগুনায় ধর্ষণ মামলার পরে বাবা খুন

ছবি: মেসেঞ্জার

বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পরে খুন হওয়া পিতা মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় পৌরশহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিহত মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে আসেন এবং সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, যেখানেই নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কঠোর অবস্থান। আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, বিএনপি বিলিয়ে খাবার দল, ছিনিয়ে খাবার দল নয়। সকলে মিলে দুঃখ ভাগাভাগির দল বিএনপি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে থেকেও সারাদেশের সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের যেকোনো সংকট মোকাবেলায় সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেন।

আফরোজা আব্বাসের সাথে মন্টু চন্দ্র দাসের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ফিরোজ উজ্ জামান মামুন, আসমা আজীজ, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, জেলা বিএনপি নেতা ফজলুল হক মাষ্টার, এ জেড এম সালেহ ফারুক, হুমায়ুন হাসান শাহিন, অ্যাড. রেজবুল কবীর, অ্যাড, রনজু আরা শিপু (পিপি), তালিমুল ইসলাম পলাশ, আবুল কালাম আজাদ এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ দিবাগত রাতে বরগুনা পৌর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ৫ মার্চ তার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী শ্রীরাম রায়ের একমাত্র ছেলে শ্রীজিৎ চন্দ্র রায়কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন মন্টু চন্দ্র দাস। ওই দিনই শ্রীজিৎ চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ৬ দিন আগেই কারাগারে যান ধর্ষণ মামলার আসামী শ্রীজিৎ চন্দ্র রায়।

এদিকে মন্টু চন্দ্র দাসের প্রথম কন্যা ৭ম শ্রেণি, দ্বিতীয় কন্যা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং সর্বকনিষ্ঠ কন্যার বয়স মাত্র ১ মাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তিন কন্যা নিয়ে দিশেহারা মন্টু দাসের স্ত্রী শিখা রাণী দাস। ঘটনার পর মন্টু দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, এবং পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহীম খলিল। এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীরসহ জেলা বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ মন্টু দাসের বাড়িতে যান এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

মেসেঞ্জার/শেখর/জেআরটি