
ছবি : মেসেঞ্জার
জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান জিলানীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন নদী গবেষক ইঞ্জিনিয়ার এম হাফিজুর রহমান লিটন।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার মো. খায়রুল আলমসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ভারত প্রতিবেশী দেশ হয়েও আমাদের সাথে বিরূপ আচরণ করেছে। পশ্চিম বাংলার প্রাদেশিক সরকারের বিরোধীতার কারণে ভারত সরকার তিস্তা চুক্তি নিয়ে কালক্ষেপন করেছে।
আমাদের ব্যার্থতা বাংলাদেশ এই বিষয়টি অনেক পরে বুঝতে পারে। তিস্তা ইস্যুতে তখন বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ যখন চীনের কাছে যায় তখন ভারতও আসতে চায়। তবে ভারতের স্বার্থে এমন কোন চুক্তি করা যাবে না যার কারণে আমাদের জীব বৈচিত্র ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার ক্ষতি হয়। তিস্তা প্রকল্পে যখন চীন সরকার আগ্রহ দেখিয়েছে তখন নিজেদের স্বার্থে ভারতও এগিয়ে এসেছে। তবে ভারত এসেছে তাদের ভালোর জন্য, কারণ যখন চীন এখানে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত তখন নিজেদের অনিরাপদ ভাবতে শুরু করেছে।
এই প্রকল্পে চীনের সাথে মূল লক্ষ স্থির রেখে ভারতের সাথে অন্যভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
ভারতের সাথে তথ্য আদান-প্রদান, জরিপ, সমীক্ষা, নদী গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করা যেতে পারে কিন্তু চীনকে বাদ দেয়া ঠিক হবে না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত আমাদের ক্লান্ত করে ফেলেছে, এখন ভারত খুশি বা অখুশি কোন বিষয় না, তাদের সাথে নমনীয় থেকে তাদের সাথে আমাদের বানিজ্য বৃদ্ধিসহ অন্য বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। এই প্রকল্পে ভারতকে আমরা উপেক্ষা করব না, তবে ভারতকে ইচ্ছা করে এই প্রকল্পে আনাও ঠিক হবে না।
মেসেঞ্জার/উজ্জ্বল/তুষার