ঢাকা,  শনিবার
২৯ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

রাজশাহীর বাগমারায় সেই প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালো উপজেলা প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২০:০০, ২০ মার্চ ২০২৫

রাজশাহীর বাগমারায় সেই প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালো উপজেলা প্রশাসন

ক্যাপশন : বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাগমারা উপজেলা চত্ত্বরে হুইলচেয়ারপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্যরা - টিডিএম।

রাজশাহীর বাগমারার সেই প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। পরিবারের সদস্যদের হুইলচেয়ার বিতরণের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৬ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকের ৬ এর পাতায় ‘আট সদস্যের পরিবারে ছয় জনই প্রতিবন্ধী, মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এছাড়া একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ নজরে আসায় বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেন পরিবারটির। এরপর পরিবারের উপার্জনক্ষম স্বাভাবিক থাকা রেজাউল হককে নিজ দপ্তরে ডেকে পাঠান। তার সঙ্গে কথা বলেন এবং মূল সমস্যাগুলো শোনেন। পরিবারের কয়েক সদস্যের হুইলচেয়ারের প্রয়োজন হওয়াতে দ্রুত তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যদের প্রতিনিধি স্বাভাবিক রেজাউল হককে নিজ দপ্তরে ডেকে তাদের চলাচলের জন্য হুইলচেয়ার ও ট্রাইসাইকেল দেন।

এছাড়া একই সময়ে উপজেলার আরও ২৪ জন প্রতিবন্ধীকে হুইলচেয়ার ও ছয়জনকে ট্রাইসাইকেল দেওয়া হয়। হুইলচেয়ার পেয়ে খুশি হন পরিবারের সদস্যরা। এসময় বাগমারা উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হুইলচেয়ার পাওয়া প্রতিবন্ধী পরিবারের কর্তা আরিকুল্লাহ বলেন, আগে ঘর ও বারান্দায় সময় কাটাতে হতো, চেয়ার পাওয়াতে আপাতত উঠান ও বাড়ির আশপাশে যেতে পারবো। নিজেও কিছু একটা কাজ করতে পারবো।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম জানান, তিনি পত্রিকার মাধ্যমে পরিবারটির দুর্দশার কথা জেনেছেন। প্রাথমিক সহায়তা শুরু করা হলো। পরিবারের অসহায়ত্বের কথা ও দ্রুত প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সহায়তা করা হবে। এছাড়া আর্থিক সহায়তা করা হবে। স্থায়ী উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আরিকুল্লাহ-রেজিয়া বেগম দম্পতি বাগমারার গনিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের আট জন সদস্যের মধ্যে ছয় জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তবে পরিবারটির কেউই প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। ১১-১২ বছর বয়সে এসে অসুস্থতা থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এখন বিনা চিকিৎসায় আর খাবারের সংকটে কোনোমতে দিনযাপন করছেন। তাদের দেখভাল করা স্বাভাবিক থাকা ছেলে রেজাউল হক এখন পর্যন্ত বিয়েশাদি করেননি।

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার