
ছবি : মেসেঞ্জার
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে ভিজিএফ স্লিপ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে এবং ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ এনে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জমায়েত হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা উদাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন আহম্মেদের গ্রেপ্তার ও অপসারণের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং ফুলছড়ি থানার সামনে গিয়ে ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জের অপসারণে বিভন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। মিছিল শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হন।
এসময় বক্তব্য দেন, ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও এইচএম সোলায়মান শহীদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ওহিদুল ইসলাম জয়, যুবদল নেতা ফারুকুল ইসলাম ফারুক সহ অন্যরা।
বক্তারা বলেন, উদাখালী ইউনিয়নে গত বুধবার ভিজিএফ এর ১০ কেজি করে চাল বিতরন করা হচ্ছিলো। চেয়ারম্যানের পকেটে বেশকিছু চালের স্লিপ থাকায় গোডাউনে বেশ কিছু চালের বস্তা রয়ে যায়। এসময় কয়েক শতাধিক দুস্থ মানুষ স্লিপ না পেয়ে পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়। চাল বেশি হওয়ার শঙ্কায় ও অবস্থা বেগতিক দেখে ইউপি চেয়ারম্যান স্লিপ ছাড়াই বেশ কিছু লোককে চাল দিতে থাকেন। এ অবস্থায় বাহিরে দাড়িয়ে থাকা লোকজন হুরোহুরি শুরু করেন।
একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন এবং তার লোকজন হঠাৎ করেই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের গোডাউনে দরজা উন্মুক্ত করে দেন। এতে গোডাউনের চাল লুট হয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা নিজেদের অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর দোষ চাপিয়ে দেন। এতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে বিএনপি এই অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করে চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
একই কর্মসূচি থেকে ফুলছড়ি থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার অপসারণও দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। নেতাকর্মীরা বলেন, ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টাকা ছাড়া কিছুই করেন না সেইসাথে মাদক জুয়ার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযান নেই। অনেক বার বলেও তিনি কোন কর্ণপাত করেন না। তাই আমরা এই ওসির অপসারণ চাই।
পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও অপসারণ সংক্রান্ত এবং পুলিশ সুপারের কাছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দুর্নীতি, টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মামলা নেওয়ার অভিযোগে অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন।
মেসেঞ্জার/শাকিল/তুষার