
ছবি : মেসেঞ্জার
মানিকগঞ্জের সিংগাইর বাজার হযরত আলী সুপার মার্কেট হতে চাড়াভাঙ্গা, বায়রা ও গাড়াদিয়া পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিগত সময়ে রাস্তাটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পাকাকরণে কয়েক বছরের মাথায় পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও বেহালদশা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও সংস্কার কিংবা মেরামত করার নেই কোন পদক্ষেপ।
রোববার (২৩ মার্চ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সিংগাইর উপজেলার পৌরসভা হযরত আলী মার্কেট হতে চাড়াভাঙ্গা- বায়রা-গাড়াদিয়া পর্যন্ত এ রাস্তাটির সাত কিলোমিটারের মধ্যে ছয় কিলোমিটারই ভাঙ্গাচুরা খানাখন্দ। ইট, সুরকি, কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। রাস্তাটি কাঁদা পানিতে একাকার হওয়ায় পথচারীদের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, মিনি ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজি, হ্যালোবাইক, অটোরিকসা, ভ্যান গাড়ী, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে থাকে। রাস্তাটি খানাখন্দ হওয়ায় স্বল্প সময়েই গাড়ীর মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চালকরা।
এছাড়া স্কুল, কলেজ, অফিসগামীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা নিয়ে এলাকার মানুষের চরম মাশুল দিতে হয়। সময় মত রোগীদের হাসপাতালে নিতে না পাড়ায় নাস্তানাবুদ হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় মনির হোসেন ও জালালউদ্দিনসহ একাধিক হ্যালো বাইক ও অন্যান্য গাড়ীর চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বায়রা রাস্তাটি নষ্ট হওয়ায় যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিতে চলাচল করতে হয়। গাড়ীর যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
কলেজ শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, বায়রা রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে খানাখন্দ হয়ে পড়ে আছে। মেরামতের কোন খবর নেই। এই রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতে বাড়তি সময় ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ হয়। তাড়াতাড়ি রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, রাস্তাটির ব্যাপারে আরসিআইপি প্রকল্পের অর্ন্তভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্প অনুমোদন হলে কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যাবে। তখন দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মেসেঞ্জার/তুষার