ঢাকা,  শনিবার
২৯ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

রাজশাহীর পবায় ৩৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু ও খাদ্য উপকরণ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৫ মার্চ ২০২৫

রাজশাহীর পবায় ৩৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু ও খাদ্য উপকরণ বিতরণ

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজশাহীর পবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৩৪টি পরিবারের মাঝে বকনা গরু ও খাদ্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগিদের মাঝে এসব বকনা গরু বিতরণ করা হয়।

উপকরণের মধ্যে ছিল ১০০ কেজি গবাদি পশুর খাদ্য, দুই প্যাকেট ভিটামিন ও মিনারেল ওষুধ। এছাড়াও দ্বিতীয় ধাপে আরো ৭৯ কেজি ৬শ’ গ্রাম খাদ্য এবং ভিটামিনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ ও টিকা সরবরাহ করা হবে। গরুর ঘর নির্মাণের ৫ পাতা টিন, ৪টি ঘরের খুঁটি ও দু’টি করে রাবার ম্যাট সরবরাহ করা হবে।

পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব গরু বিতরণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম। উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা সামশুন্নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার সরকার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম, হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। এসময় উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা এমএনএম জুহুরুল হক, পাট কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, জাইকার পবা উপজেলা কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, পিছিয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়কে উন্নয়নের কাতারে আনার জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই একটি বকনা গরুর দ্বারা তার ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা ঘোরাতে সম্ভব।

তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তারা যেন পরবর্তীতে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখে, নিজেদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারে। সেই লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।

পবার পারিলা ইউনিয়নের সুবিধাভোগী আদিবাসী নারী রিতা বিশ্বাস বলেন, বছর তিনেক আগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের গরু, খাদ্য-ওষুধ, টিন আর ঘরের খুঁটি দেওয়া হয়। এগুলো বিনিময়ে আমরা উপকৃত হয়েছি। একটি বকনা গরু থেকে আমার তিনটি গরু হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু বিক্রি করে ঘর দিয়েছি। এখনো দুইটি গরু তার গোয়াল ঘরে রয়েছে।