ফাইল ছবি
ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকের মেয়ের দায়েরকৃত মামলায় গ্রুপটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার তাদেরকে জামিন দেন।
জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স—আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক এবং ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।
বিকালে তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অপর দিকে গ্রেপ্তার পাঁচজনের পক্ষ থেকে রিমান্ড বাতিলপূবর্ক জামিনের আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনের প্রত্যেককে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে আদালত তাঁদের প্রত্যেককে পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত জামিন দেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, আইনজীবী বাহারুল ইসলাম, বাবলুর রহমান ও এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক।
এর আগে সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান থানায় তিনটি মামলা হয়। একই দিন ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে তাঁদের বাসা, অফিসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
আইনজীবী বাবলুর রহমান বলেন, সম্পত্তি আত্মসাৎ বা প্রতারণার কোনো অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে না থাকায় আদালত তাঁদের জামিন দিয়েছেন।
বাবলুর রহমান আরও বলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের সম্পত্তি হস্তান্তর-সম্পর্কিত দলিলে এরা সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র। এই পাঁচ আসামি কোনো সম্পত্তি আত্মসাৎ করেননি।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার