![আনার হত্যাকান্ডের মোস্তাফিজ-ফয়সালের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন আনার হত্যাকান্ডের মোস্তাফিজ-ফয়সালের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/24-2406270853.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলীকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে।
এর আগে বুধবার (২৬ জুন) দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলীকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক টিম।
আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে জড়িত ছিল ফয়সাল ভুঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান। ১৯ মে তারা দেশে ফেরে। শিমুল ভুঁইয়ার কাছ থেকে পায় ৩০ হাজার টাকা। সেই টাকা নিয়ে সীতাকুণ্ড পাতাল কালীমন্দিরে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। সেখানে তারা হিন্দু পরিচয়ে আশ্রয় নিয়ে ২৩ দিন অবস্থান করে।
তাদেরকে ঢাকায় এনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনার তদন্ত করছিলাম। শুনলাম এ দুই আসামি খাগড়াছড়ি বা সীতাকুন্ডে অবস্থান করছে। আমাদের টিম সেখানে সাঁড়াশি অভিযানে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে আরেকটি টিম সেখানে যায়। অনেক উঁচু পাহাড়, সেখানে যাওয়া অনেক কঠিন। হেঁটে পৌঁছাতে ৭/৮ ঘণ্টা লাগে। পরে সেখান থেকে মোস্ট ওয়ানটেড দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে ওই বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।
পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
পুলিশ বলছে, সংসদ সদস্য আনার কলকাতা যান ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাঁকে প্রলুব্ধ করে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী।
মেসেঞ্জার/আজিজ