ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০৪ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর সন্ধান সাদিক অ্যাগ্রোর সাভারের ফার্মে

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ১ জুলাই ২০২৪

নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর সন্ধান সাদিক অ্যাগ্রোর সাভারের ফার্মে

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোমবার ( জুলাই) সাদিক অ্যাগ্রোর সাভারের ফার্মে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর সন্ধান পেয়েছে। আজ দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকায় সাদিক অ্যাগ্রোর ফার্মে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 সাদেক অ্যাগ্রোর ওই ফার্মে ছাগলকাণ্ডের ১৫ লাখ টাকা দামের সেই ছাগলসহ ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ৭টি বাছুরসহ প্রায় আড়াইশ গরু রয়েছে। একই সঙ্গে ১২টি উট দুটি ঘোড়াসহ কয়েকশ হাস-মুরগি রাখা হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে বিদেশ থেকে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরু কাস্টমস থেকে জব্দ করা হয়েছে। সেগুলোকে পরে লালন-পালনের জন্য সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন দুগ্ধ খামারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত রোজার ঈদে গরুগুলোর মাংস বিক্রির জন্য কমিটি করা হয় এবং মাংস বিক্রি করা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে, তাই ওই গরুর খোঁজে আমরা সাদিক অ্যাগ্রোতে এসেছি। পরে এখানে এসে একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ৭টি বাছুরের সন্ধান মিলেছে। এরপর একটি ঘরে কাপড়ে আচ্ছাদনের ভেতরে ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগলটি দেখা গেছে। সাদেক অ্যাগ্রোতে কিছু নথি পাওয়া গেছে, যা আমরা জব্দ করেছি। এছাড়া নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর আমদানি উৎপাদন নিষিদ্ধ। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান এই কর্মকর্তা।

২০১৬ সালে আমেরিকান ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে করে ১৮টি ব্রাহমা গরু দেশে আনে সাদিক অ্যাগ্রো। এগুলোর মধ্যে একটি গরু আকাশপথেই মারা যায়। গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।

সে সময় সাদিক অ্যাগ্রোর জমা দেওয়া তিনটি নথি জাল ছিল। নথিগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানি-সংক্রান্ত একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণি কোয়ারেন্টাইন বিভাগের কাছ থেকে একটি চিঠি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদিপশু আমদানির অনুমতিপত্র। যার প্রতিটিই জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তখনকার শুল্ক কর্মকর্তারা।

ওই ঘটনায় তখন মামলা হলে আদালতের রায় আসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে। এরপর ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন দুগ্ধ খামারে।

মেসেঞ্জার/মুমু