ছবি : সংগৃহীত
কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এদিন সকালে কারাগারে থেকে কামরুল ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই চাঁদাবাজি মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের জোর দাবি জানান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই মামলায় ২ দিন করে ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে একাধিক মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। এছাড়া একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় কামরুলকে।
চাঁদাবাজির দুই মামলার মধ্যে (৪ সেপ্টেম্বর) সগীর আহমেদ সুজন নামে এক ব্যক্তি কামরুল ইসলামসহ ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বাদীর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
অন্যথায় তার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হবে বলে হুমকি দেন। ভয়ে বাদী ২০ লাখ টাকা দেন। তবুও বাকি টাকা না পেয়ে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে বাদীর ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় আসামিরা।
এছাড়া (৭ সেপ্টেম্বর) আলী আহম্মদ নামে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কামরুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদী ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করেন। ২০২০ সালের (২ জুন) আসামিরা বাদীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে আসামিরা তাকে বুকে পিস্তল ধরে মারধর করেন।
মেসেঞ্জার/তারেক