ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ছয় সদস্যের নামে বরাদ্দ ছয়টি প্লটের নথির সন্ধানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদরদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।
বুধবার (১ জানুয়ারি) পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প বিভাগে এ অভিযান চালায় ছয় সদস্যের টিম। পূর্বাচল উপশহর প্রকল্পেই ছয়জন ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। (২৭ ডিসেম্বর) প্লট বরাদ্দে অনিয়মের বিষয় আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
সূত্র জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে নিজেরসহ পরিবারের ছয় সদস্যের নামে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল।
শেখ হাসিনা ছাড়া প্লট বরাদ্দের তালিকায় আছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তি।
রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও অভিযানকালে খতিয়ে দেখা হয়। অভিযান টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে রাজউকের প্লট ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংগ্রহ করেন।
এ সময় প্লট ক্রয়-বিক্রয়ে রাজউক কর্মচারীদের যোগসাজশে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নেওয়া প্রাথমিক সত্যতা পায় অভিযান টিম। এ ছাড়া, প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তদের নথি গায়েব ও বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রবাসী মালিকদের ছবি বদলে ভুয়া মালিক সাজিয়ে প্লট বিক্রির অভিযোগেরও সত্যতা পেয়েছেন তারা।
দুদক টিম জানতে পারে, নথি গায়েবের বিষয়ে জড়িত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পরিচালকের (এস্টেট ও ভূমি) কাছ থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্লটগুলোর বিষয়ে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। এগুলো বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
মেসেঞ্জার/তারেক