ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারাল টেন মিনিট স্কুল

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ১৬ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১২:২০, ১৬ জুলাই ২০২৪

৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ হারাল টেন মিনিট স্কুল

ছবি : সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ হারালেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১১টায় টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করার বিষয়টি জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো।

এর আগে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ভেরিফাই ফেসবুক পেইজ থেকেও আয়মান সাদিকের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। তবে স্টার্টআপ বাংলাদেশে ও জুনায়েদ আহমেদ পলক চুক্তি বাতিলের জন্য কোনও কারণ জানাননি। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক। এর প্রেক্ষিতে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল হতে পারে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্টার্টআপ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘টেন মিনিট স্কুল- এর জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘টেন মিনিট স্কুল- এর জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো।’

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে স্ট্যাটাস দেন আয়মান সাদিক। তিনি লেখেন, ‘রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।’ কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুক কাভার ফটোও দেন তিনি।

২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাচে লাইভ ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করছে নিয়মিত। প্রতিবছর অনলাইন ব্যাচে প্রস্তুতি নিয়ে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাচ্ছে। ভর্তি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদেরও প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে টেন মিনিট স্কুল। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন নিয়েও নিয়মিত কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। স্পোকেন ইংলিশ, আইএলটিএস, সফটওয়্যার, সফট স্কিলস, ফ্রিল্যান্সিংসহ অনেক ধরনের দক্ষতা উন্নয়নভিত্তিক কোর্স আছে টেন মিনিট স্কুলের।

টেন মিনিট স্কুলের অ্যাপে বাংলাদেশের বোর্ড সিলেবাসের ওপর ৩৫ হাজারের বেশি রেকর্ডেড ভিডিও লেকচার আছে। এর পাশাপাশি ৮২ হাজারের বেশি কুইজ আছে। এ ছাড়া মডেল টেস্ট, ই-বুক ও লেকচার শিটের মতো শিক্ষামূলক রিসোর্স টেন মিনিট স্কুল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই শিক্ষামূলক অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৫৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এছাড়া টেন মিনিট স্কুলের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে প্রতি মাসে এক কোটির বেশি শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়াশোনা করছে।

মেসেঞ্জার/দিশা

×
Nagad