ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

বৃহস্পতিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে: বিজিএমইএ

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৃহস্পতিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে: বিজিএমইএ

ছবি : সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে আজ ৬০টি ও গত মঙ্গলবার ৩৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে পোশাক খাতে বিরাজমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে জরুরি এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানানো হবে। ওই মিটিংয়ে এনএসআই, শিল্প পুলিশ, বাংলাদেশ আর্মির পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের টানা কয়েক দিনের আন্দোলনের মুখে অন্তত ৬০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। 

বুধবার সকাল থেকেই সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো, ঘোষবাগ, সরকার মার্কেট, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও পল্লিবিদ্যুৎ এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়।

শ্রমিকরা জানান, টানা কয়েক দিন বিভিন্ন পোশাক কারখানায় বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। এতে মালিকপক্ষ তাদের কিছু কিছু দাবি ম‌ঙ্গলবার মেনেও নিয়েছিল। তবে এখন মালিকপক্ষ বলছে, তাদের পক্ষে সেসব দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না। এতে বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কারখানার সামনে ও সড়কে বিক্ষোভ করেন।

জানা গেছে, সকালে হা-মীম গার্মেন্টসের কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক কাজে যোগ দেন। পরে তাদের কারখানা হঠাৎ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে হা-মীমের শ্রমিকরা শারমিন গার্মেন্টসের সামনে গেলে তাদের কারখানার শ্রমিকও বের হয়ে আসেন। এরপরে জিরাবো, ঘোষবাগ, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর এলাকার যতগুলো পোশাক কারখানা ছিল সেগুলো বুধবারের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। 

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। পরে একটি বড় গার্মেন্টস ছুটি দিলে কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক রাস্তায় নেমে আসেন। তখন অন্তত আরও ৬০টি পোশাক কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। তবে কোথাও কোনো বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমাদের এবং সেনাবাহিনীর সামনেই শ্রমিকদের কিছু দাবি মেনে নিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে এখন কারখানার মালিকরা বলছেন, শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে পারবেন না। এতেই শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তবে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে।

মেসেঞ্জার/শাহেদ

×
Nagad