ঢাকা,  রোববার
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা বিশাল

মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা বিশাল

ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার

দেশিয় কাঁচামাল ও শ্রমিকের মূল্য কমের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববাজারে কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজত পণ্যে রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে পারলে পোশাক খাতের মতই কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজত পণ্যের খাত হতে পারে দেশের অর্থনীতির বড় উৎস।

এই পণ্যগুলোর রপ্তানির মাধ্যমে একদিকে দেশে আসবে বৈদেশি মুদ্রা, অপরদিকে কৃষকের মুখে ফুটবে হাঁসি পাশাপাশি নতুন করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কিন্তু বেশ কিছু কারণে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও রপ্তানি আয় রয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে। এই পথটা অতিক্রম করতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

বিষয়টি স্বীকার করছেন কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব ড.মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি দ্যা ডেইলি মেসেঞ্জারকে জানান, বিশ্ববাজার দুই ধরনের- একটি হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাজার। আরেকটি হলো-বিদেশি বাজার। এই দুই বাজারের ভোক্তাদের চাহিদা জানতে মন্ত্রনালয়ের কান্ট্রিওয়াইজ গবেষনা চলছে। গবেষণার ফলাফলের পর প্রথমে পলিসিতে পরিণত করা হবে। এরপর প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদাহরণ হিসেবে বিদেশিরা বাংলাদেশ থেকে আম, কাঠাল এবং আনারস আমদানি করতে চায় সে সুসংবাদ দিয়ে তিনি বলেন, আমরাও জাপান, চীনসহ বেশ কিছু দেশের উদ্যোক্তা এবং রাষ্টদূতকে আমাদের পণ্যগুলো দেখিয়েছি, তারাও সেগুলো দেখে পছন্দ করেছেন। আশা করি, এসব পণ্য দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করতে পারবো।

একই সঙ্গে যাতে চাল, ডাল, পেয়াঁজ, রসুন এবং আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমাদানি করতে না হয়, সেই পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। তাতে একদিকে দেশি কৃষকরা তাদের পণ্যের দাম আরও বেশি পাবে। অন্যদিকে পন্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, দেশের শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি খাতের একটি হলো কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো এ খাত এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করে। ওই বছর এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল ১০২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয় ছিল ১১৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। যদিও ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি ২৭ শতাংশ কমে ৮৩ কোটি ডলারে নেমেছে। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছিল ৭০ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আয় করে ৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম দ্যা ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ এখনো বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে পারেনি। কারণ সুগন্ধি চাল,মসলা, স্নেকস জাতীয় খাবার বাংলাদেশের বাহিরে কেবল প্রবাসিদের কাছে বিক্রি করা হয়।

কিন্তু ইউরোপ,আমেরিকা, অট্রোলিয়া এমনকি এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোতে এগুলো বিক্রি হচ্ছে না। কারণ বিদেশিরা হাইজেনিক খাদ্য ছাড়া গ্রহণ করে না। তারা জানতে চায় এসব পণ্য উৎপাদনের সময় জমিতে জৈব্য সার ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? কিংবা কোন ধরনের সার ব্যবহার করা হয়েছে। সব কিছু ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ খাবার হলেই তারা এসব পণ্য কেনেন। অর্থাৎ পন্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর‌্যায়ে পৌঁছার সব তথ্য।

তিনি বলেন, ফল, সবজি এমন কী চাল, ডাল উৎপাদনের জন্য তাদের যেসব শর্ত রয়েছে তার পূরণ করে রপ্তানির উদ্যোগ নিন। তাতে দিন দিন দেশের কৃষি খাত সম্প্রসারণ হবে। নতুন করে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান বাড়বে।

শিল্পখাতের মতই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এমনকি আফ্রিকার বিভিন্ন সুপারশপে বাংলাদেশি কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে, এটা একটি ভালো উদাহরণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ আমাদের পন্যগুলোর ব্রান্ড তৈরি করা এগুলো বিভিন্ন দেশের সভা সেমিনার এবং প্রদর্শনীতে তুলে ধরা। এক্ষেত্রে পন্যের গুণগতমান আন্তর্জাতিক পর‌্যায়ের হতে হবে।

উৎপাদক ও রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকার পর বাংলাদেশি খাদ্যপণ্য এখন ইউরোপেও যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর পরিসর আরও বড় হবে। ইউরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতেও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশে পণ্যগুলোর চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ খাত দেশের নতুন রপ্তানি খাত হিসেবে আশা দেখাচ্ছে। তবে, কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

কারখানা মালিকদের সংগঠন BANGLADESH AGRO-PROCESSORS ASSOCIATION (BAPA) বলছেন, বিশ্ববাজারে দেশি পন্য রপ্তানিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ কারণ। এর মধ্যে প্রথম হলো-সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে কৃষি- প্রক্রিয়াজাতকরণ অন্যান্য পণ্যের ক্রয় আদেশও বাতিল করছে। এই অর্ডার পাশ্ববর্তী দেশে চলে যাচ্ছে।

‍দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে-চুক্তিভিত্তিক উৎপাদিত (Contract Manufacturing) পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা- প্রণোদনা প্রদান। Contract Manufacturing-এর মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার সুবিধা না থাকায় রপ্তানি বাজারে প্রতিবন্ধকতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

তৃতীয় কারণ হল-নগদ সহায়তা-প্রণোদনার হার পূর্বের মত বহাল অথবা সোর্স টেক্স বাতিল করতে হবে। কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাতের রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার হার ২০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করায় রপ্তানি কমে যাচ্ছে। নগদ সহায়তার উপরে সোর্স টেক্স ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়, যা রহিত করা প্রয়োজন অথবা AIT হিসেবে গণ্য করা। প্রতি রপ্তানির বিলের উপর ১ শতাংশ টেক্স কর্তন করা হয়, রপ্তানি বৃদ্ধির স্বার্থে তা কমানো প্রয়োজন।

চতুর্থ কারণ হলো-কৃষি-প্রত্রিয়াজাতকরণ পণ্যের কাচামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য উৎপাদনে কাঁচামালের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া রপ্তানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাজারে টিকে থাকা কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পাশের দেশ গুলোতে কাচামালের মূল্য আমাদের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় আমাদের রপ্তানির বাজার সংকোচিত হচ্ছে। যেমন: চিনি

পঞ্চম কারণ হল-হালাল পণ্যে রপ্তানি লক্ষ্যে সনদ প্রদানের কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ।বিশ্ব-অর্থনীতির সাথে তালমিলিয়ে হালাল বাজারের পণ্যের রপ্তানি ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ভাবে নিয়ম-নীতি গুলোর ব্যাপারে সচেতনতা করা খুবই জরুরী।

বিশ্ববাজার ও বাংলাদেশের অবস্থান:

বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কৃষিপণ্য রপ্তানির বাজার চার ট্রিলিয়ন ডলার। ভেরিফায়েড (যাচাইকৃত) মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের বাজার ছিল ১৪৩.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বার্ষিক ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ২০২৮ সাল নাগাদ এ বাজার হবে ২৩৫.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বেভারেজ, ডেইরি, মিট অ্যান্ড পোল্ট্রি, বেকারি, স্ন্যাকস, কনফেকশনারি পণ্য। এসব পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপের দেশগুলো এ বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশের চেয়ে আয়তনে ছোট নেদারল্যান্ডের কৃষিপণ্যের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশকে এত দূর যেতে হলে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ড কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে অনেক এগিয়ে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প দেশটির তৃতীয় বৃহৎ খাত। দেশটির মোট জিডিপির শতকরা ২৩ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। প্রতি বছর কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি করে থাইল্যান্ড ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের মাত্র ১ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত হয়। অন্যদিকে, ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ, চীনে ৩৮, ফিলিপাইনে ৩১, আমেরিকায় ৭০, থাইল্যান্ডে ৮১ ও মালয়েশিয়ায় ৮৪ শতাংশ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১১.০২ শতাংশ, যা আগের বছরে ছিল ১১.৩০। মোট জনশক্তির ৪৫.৪ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত। কিন্তু সে হারে রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না এ খাত।

বাপার মতে, বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১২ শতাংশ এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাতের অবদান ১.৭ শতাংশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর মোট উৎপাদনের ৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়। পণ্য উৎপাদনের সব পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে পারলে এ অপচয় রোধ করা সম্ভব।

১ বিলিয়ন পন্য রপ্তানির মধ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো একাই ৬০ শতাংশ রপ্তানি করছে। খাদ্যপণ্য হিসেবে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক বেশি যৌক্তি তুলে ধরে প্রাণ-আএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটির বেশি। সেখানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭০০ কোটিরও বেশি এবং তাদের ক্রয়ক্ষমতা অনেক। ব্যবসার অনুকূলে আমাদের অনেক সুবিধা যেমন সস্তাশ্রম, কাঁচামালের সহজলভ্যতা, অল্প দামে জমি, কাজের জন্য ভালো পরিবেশ ইত্যাদি আছে। সেগুলো কাজে লাগিয়ে যদি মানসম্মত পণ্য সহনীয় মূল্যে বাজারে আনতে পারি তাহলে আমরা বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানির বড় অংশ দখল করতে পারব।’ইতোমধ্যে আমাদের এখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় কোম্পানি ও ব্র্যান্ড পণ্য আমদানি করছে।

রফতানীতে শীর্ষ দশে রয়েছে। SQUARE Food & Beverage Ltd। প্রতিষ্ঠানটির এর Senior Brand Manager, S.M. Riashat Tanvir বলেন, স্কয়ার বর্তমানে ১৩ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেন। আমাদের টার্গেট ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার। আমরা দ্রুত রপ্তানি দ্বিগুণ করতে চাই। এ জন্য নতুন নতুন পন্য রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানি ১৫ থেকে ১৫৬ শতাংশ অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হলে-সরকারকে বন্ধ রেডিয়েশন চালু করতে হবে। পন্য সাটিফায়ের জন্য আরও একাধিক রেডিয়েশন চালু দরকার।

স্নেকস জাতীয় পন্য মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশ রপ্তানি করছে Bombay Sweets & Co Ltd। প্রতিষ্ঠানটির General manager (international Business and Corporate Affairs) Khurshid ahmad farhad said the Daily Messenger. স্নেকস জাতীয় পন্যের পাশাপাশি আমরা বাজারে মসলাও (হলুদ, মরিচ ধনিয়া ও জিরা) নিয়ে এসেছি। আমরা পুষ্টিগুণ ঠিক রেখে সুলভ মূল্যে বিক্রি করছি। নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের পন্য নিয়ে গবেষণা করছি। সরকারের উচিৎ নীতি সহায়তাসহ অনান্য সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া। তাহলেই দ্রুত রপ্তানি আয় বৃদ্ধি সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.শাকিলা সালাম বলেন, আমাদের বেশিরভাগ পণ্য অর্গানিকভাবে উৎপাদন হয় না, এটা একটা বড় সমস্যা। ফলে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু রপ্তানি করতে পারি না, এখানে অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। আম রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের তুলনায় পার্শ্ববর্তী দেশের পণ্যের মান ভালো। পন্যের মান বৃদ্ধিতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রি বিজনেস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল হাসান ব‌লেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষি বা প্রক্রিয়াজাত পণ্যের গুণগত মানের অভাবে বাংলাদেশ কৃষি এগ্রো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভারতের তুলনায় পিছিয়ে। এ থেকে রেহাই পেতে হলে, পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে ল্যাব টেস্টিংয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। একই সঙ্গে বহির্বিশ্বে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’প্রচারণা বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশে থাকা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশি পণ্যের ব্যবসা প্রসারে কাজ করতে হবে।

মেসেঞ্জার/সজিব

×
Nagad