ছবি: সংগৃহীত
দেশের স্বার্থই আমাদের একমাত্র এজেন্ডা বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই আয়োজনের বিষয় ছিল ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা আমাদের কিছু দায়িত্ব দিয়েছে। সেটুকু আমরা যথাসম্ভব পালন করার চেষ্টা করছি। আমাদের কারও কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডা নেই। এজেন্ডা হচ্ছে দেশের স্বার্থ। যা কিছু করা হচ্ছে তা দেশের স্বার্থেই করা হচ্ছে। আর আমরা যা করছি সেটি ভবিষ্যতে যেকোনো সরকার এলেও তারা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা কাজগুলোকে ৩টি ধাপে ভাগ করেছি। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কাজ। আমরা হয়ত মধ্যমেয়াদি কাজ শুরু করতে পারব। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কাজগুলো পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার যারা আসবেন তারা করবেন। তবে আমরা কিছু কিছু দীর্ঘমেয়াদি কাজও করার চেষ্টা করব। দেশের অর্থনীতির ভালোর জন্য যে গবেষণাগুলো হয়েছে সেগুলো যেন আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োগ করতে পারি সে চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যাংকিং, রেভিনিউসহ বিভিন্ন রেগুলেটরি ফ্রেম ওয়ার্কের কথা বলা হচ্ছে। সেজন্য আমাদের সিদ্ধান্তগুলো খুব দ্রুত নেওয়া হচ্ছে। এর মানে আবার এমন নয় যে, টেকসই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আমরা যা করছি, সেগুলো জনগণকে কনভিন্স করেই করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বৈষম্যের ক্ষেত্রে দুটি দিক রয়েছে। যার একটি চোখে দেখা যায় না এবং আরেকটি দেখা যাচ্ছে। আবার আমরা দেখতে পাচ্ছি, আয় ও সম্পদের বৈষম্যও রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আবার আয়ের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য বেশি প্রকট।
গরিব মানুষজন সুযোগের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গ্রামের অনেক মানুষই জানেন না সরকারি সুযোগগুলো কোথায় পাওয়া যাবে। তারা সুযোগের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। আবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও বৈষম্য হচ্ছে। গরীব মানুষকে শুধুমাত্র ভিটামিন এ ক্যাপসুল আর কলেরার টিকা দিলেই হয় না। তারও মরণব্যাধী হওয়া হয়। কিন্তু তার জটিল রোগের চিকিৎসা কোথায় করাবে সেটি নির্দিষ্ট নয়। তাকে ঘটিবাটি বিক্রি করে ঢাকা আসতে হচ্ছে। আবার শিক্ষা খাতেও অনেক সময় তারা গুণগত শিক্ষা পান না।
উপদেষ্টা বলেন, যোগ্য পরিচালকের অভাবে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। কারণ, সেগুলো চালাতে সময়মতো ভালো লোক দেওয়া হয়নি। আবার তারা প্রফেশনাল জায়গাগুলোতে নন প্রফেশনাল কন্সিডারেশনও হয়েছে। এছাড়া আমাদের সিস্টেমগুলোও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অটোমেশন হয়নি। স্মার্ট বাংলাদেশ, ডিজিটাল বলা হলেও বাস্তবে এতটা নয়। সেজন্য এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
মেসেঞ্জার/ফামিমা